মাদক মামলায় নাম জড়িয়েছে আরিয়ান খানের। যার ফলে আরও একবার বলিউডের মাদক-যোগ নিয়ে চলছে জোরদার চর্চা। আজ ফের আদালতে তোলা হবে আরিয়ানকে। দেখার NCB-র তরফে আদালতে শাহরুখের বড় ছেলের হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয় কি ন! তবে এসবের মাঝেই চাঞ্চল্যকর দাবি তুললেন এনসিপি-র মুখপাত্র তথা মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক। পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, এই ঘটনার পিছনে হাত রয়েছে বিজেপি-র। সঙ্গে, এটাও দাবি করা হয়েছে যে আসল টার্গেট শাহরুখ।
‘পুরো ঘটনাটা সাজানো’, বলেই জানিয়েছেন নবাব। সঙ্গে তাঁর দাবি মহারাষ্ট্র সরকাররে প্যাঁচে ফেলতে NCB-কে দিয়ে এই কাজ করাচ্ছে বিজেপি। এর আগে কংগ্রেসের তরফেও দাবি করা হয়েছিল, গুজরাটের মুন্দ্রা বন্দরে আটক ৩০০০ কিলোগ্রাম হেরোইন উদ্ধারের মামলা থেকে দেশবাসীর নজর ঘোরাতেই এনসিবি-র প্রমোদতরী অভিযান। এখানেও পরোক্ষভাবে বিজেপি-র দিকেই নিশানা করা হয়েছিল।
নবাবের দাবি, শাহরুখ খানকে পরবর্তী নিশানা করা হবে বলে অন্তত এক মাস আগে সাংবাদিকদের কাছে খবর ছিল। সঙ্গে শাহরুখ-পুত্রকে আটক করার পর তাঁর সঙ্গে সেলফি তোলা ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির প্রসঙ্গও তোলেন তিনি। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম মণীশ ভানুশালী। যদিও এনসিবি জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি তাঁদের কেউ নন। তাই প্রশ্ন উঠছে, কে ওই ব্যক্তি? সে এনসিবি-র অভিযানের সময়তেই বা কী করছিল ওই প্রমোদতরীতে। নবাবের দাবি, তিনি বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর ছবি রয়েছে। যদিও নবাবের এই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন মণীশ ভানুশালী। জানিয়েছেন তাঁর সঙ্গে বিজেপি-র কোনও সম্পর্ক নেই!
যদিও নবাবের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে এনসিবি। জানিয়েছে নবাবের এই দাবি ভিত্তিহীন। এনসিবি-র ডেপুটি ডিজি জ্ঞানেশ্বর সিং জানিয়েছেন, ‘ওরা (NCP) চাইলে আদালতে যেতেই পারে। আমরা সমস্ত প্রোটোকল মেনে তদন্ত করছি। আমাদের হাতে সমস্ত প্রমাণও আছে। এনসিবি স্পষ্ট করে দিতে চায় বর্তমান ও ভবিষ্যতেও আমর সমস্ত আইন মেনে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করব।’