বাংলাদেশে আগুন জ্বলছে। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণদাসের মুক্তির দাবিতে জ্বলছে ওপার বাংলা। সনাতনীদের উপর অত্যাচারের নানান অভিযোগ উঠে আসছে। পরিস্থিতি ক্রমাগত জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। এরই মাঝে শুক্রবার কলকাতায় এসে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপি সাংসদ, অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত।
ঠিক কী বলেছেন কঙ্গনা?
কঙ্গনা বলেন, ‘বাংলাদেশে সাধু ও সাধুদের অবস্থা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এটা উদ্বেগের বিষয়। তবে দুর্ভাগ্যের বিষয় এই যে এই নৃশংসতার বিরুদ্ধে এখানে কোনও প্রতিবাদ হচ্ছে না... । কেউ কিন্ত অল আইজ অন বংলাদেশ বলে সোশ্যাল মিডিয়াতেও কেউ পোস্ট করছেন না। এই বিষয়টাও চিন্তার।'
বাংলাদেশের শাসনভার বর্তমানে যাঁর হাতে রয়েছে, সেই মুহাম্মদ) ইউনূস যেহেতু শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। সেপ্রসঙ্গে কঙ্গনা বলেন, 'উনি শান্তি নোবেল পেয়েছিলেন। অথচ উনি আসার পর থেকেই অশান্তি চলছে, বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। আমি শুধু বলব, এই কঠিন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সঙ্গে আমরা আছি। ওখানকার হিন্দুদের পাশে আমরা রয়েছি। জয় শ্রীরাম, এছাড়াও আমরা বলতে পারি শ্রীকৃষ্ণ জয়, উনিই ওঁদের রক্ষা করুন…।’
এর আগে কোটা আনন্দোলন নিয়ে উত্তপ্ত বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিতর্কিত মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছিলেন কঙ্গনা। বলে বসেছিলেন বিদেশী শক্তির ইন্ধনে বাংলাদেশে আন্দোলন হচ্ছে, এই প্রচেষ্টা এদেশেও কৃষক আন্দোলনের সময়েও হয়েছিল বলে বসেন তিনি। আর তাতেই বিতর্ক দানা বাঁধে। যদিও সেসময় দলের তরফে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল নতুন সাংসদকে। বিজেপির তরফে জানানো হয়েছিল, এই মন্তব্য কঙ্গনার ব্যক্তিগত, এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।
তবে এখানেই শেষ নয়, পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের উত্তাল পরিস্থিতির কারণে ধর্মকে দুষেছিলেন ‘কুইন’। বলেন, 'সমস্ত ইসলামিক রাষ্ট্রেই এটা আজ নাহয় কাল ঘটেই। ইসলাম প্রধান দেশে সবসময়ই একটা চেষ্টা চলে অন্য ধর্মকে সম্পূর্ণ ভাবে শেষ করে দেওয়ার।'
বাংলাদেশের ঘটনার প্রতিবাদে কঙ্গনা এখানে কোনও আন্দোলন হচ্ছে না বলে মন্তব্য করলেও ঘটনায় ইতিমধ্যেই বৃহস্পতিবার কলকাতার রাস্তায় বিশাল মিছিল করেছে হিন্দু সংগঠনগুলি। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর লাগাতার নির্যাতনের প্রতিবাদ ও ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণদাসের মুক্তির দাবিও ওঠে সেই মিছিলে।