আজ মুম্বই ফিরছেন কঙ্গনা। ইতিমধ্যেই চন্ডীগড় পৌঁছে গিয়েছেন নায়িকা। তবে কঙ্গনার মুম্বই ফেরবার আগেই বিএমসি শুরু করে দিল অভিনেত্রীর অফিস ভাঙার কাজ। মুম্বইয়ের পালি হিলসে অবস্থিত কঙ্গনার প্রযোজনা সংস্থা মনিকর্ণিকা ফিল্মসের অফিস। গতকালই এই নির্মাণে বেশ কিছু কাঠামোগত ত্রুটি খুঁজে পেয়েছিল বিএমসি। অফিসের গেটে লাগানো হয়েছিল নোটিশ। ২৪ ঘন্টার মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল অভিনেত্রী। কিন্তু নায়িকার জবাবে সন্তুষ্ট নয় বিএমসি। বৃহন্মুম্বই পুরসভার তরফে অ্যাসিসট্যান্ট কমিশনার বিনায়ক ভিসপুটে জানান, ‘আমরা আজই ভাঙার কাজ শুরু করব। ৮-১০ টি কাঠামোগত নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে বান্দ্রার পালি হিলের এই অফিসে।এটি ভাঙার পর পরবর্তীতে আইন মেনে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।
মঙ্গলবার মনিকর্ণিকা ফিল্মের অফিসে 'স্টপ ওয়ার্ক' অর্থাত্ ‘কাজ বন্ধের’ নির্দেশ দেওয়া হল বিএমসির তরফে। মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন আইনের আওতায় ৩৫৪/এ সেকশন অনুসারে এদিন তিন পাতার নোটিশ আটকানো হল কঙ্গনার অফিসের গেটে।
এই নোটিশে ৮-১০ পয়েন্ট উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে বলা হয় এই নির্মাণ কাজে বেশ কিছু কাঠামোগত নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে। সেইগুলিই মেনেই এদিন অফিস ভাঙার কাজ শুরু করল বিএমসি। কঙ্গনার তরফে আইনজীবী জবাব দেন, বিএমসির অভিযোগ ভুয়ো এবং ভিত্তিহীন। স্টপ ওয়ার্ক নোটিশ প্রসঙ্গে কঙ্গনার আইনজীবী বলেন, ওখানে কোনওরকম কাজ চলছেই না। তবে তাঁর দলিলে কান দিল না বিএমসি। তাদের পালটা দাবি নোটিশ হাতে পাওয়ার পরেও নাকি কাজ চালু রেখেছিলেন নায়িকা। তাই অবিলম্বে ভেঙে ফেলা হচ্ছে এই অফিসের বেআইনি নির্মাণ।
বিএমসির এই পদক্ষেপ নিয়েও টুইটারে কড়া বার্তা কঙ্গনার। তিনি লেখেন, ‘মনিকর্ণিকা ফিল্মসে প্রথম ছবি অপরাজিতা অযোধ্যা হিসাবে ঘোষিত হয়েছে, এটা আমার জন্য একটা মন্দির, কোনও নির্মাণ নয়। আজ এখানে বাবর এসেছে। আজ ফের একবার ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটছে। রাম মন্দির ভাঙবে, কিন্তু বাবর মনে রাখবেন মন্দির আবারও তৈরি হবে, জয় শ্রী রাম। জয় শ্রী রাম….’