হিন্দি ছবির আইকনিক সুপারি কিলার 'বব বিশ্বাস' এর আলাদা ছবি ঘোষণার পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছিল বলিউড। তবে ছবি 'বব বিশ্বাস' হিসেবে শ্বাশত চট্টোপাধ্যায়ের (Saswata Chatterjee) জায়গায় অভিষেক বচ্চনের উপস্থিতি ঘিরে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। সব জল্পনা, বিতর্ক আর তুলনার অবসান ঘটল গত ৩ ডিসেম্বর। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জি ফাইভে মুক্তি পেয়েছে ‘বব বিশ্বাস’। তবে আসর মাত করেছেন অভিনেতা পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়'! ছবিতে অল্প কিছুক্ষণের স্ক্রিন প্রেজেন্স তাতেই দর্শক ও ছবি সমালোচক দুইয়েরই মন জয় করে নিয়েছেন এই বর্ষীয়ান বাঙালি অভিনেতা। তাঁর অভিনীত 'কালী দা' চরিত্রটি ঘিরে ইতিমধ্যেই আগ্রহ প্রকাশ করেছে তামাম দর্শককুল। রব উঠেছে এবার শুধু 'কালীদা'কে নিয়েই আলাদা একটি ছবি তৈরি করার। তা সেই স্বপ্নের ভবিষ্যত কী? সেই বিষয়ে এবার মুখ খুললেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং।
ফোনের ওপার থেকে হিন্দুস্তান টাইমসকে এই বর্ষীয়ান অভিনেতা এ প্রসঙ্গে বলে উঠলেন, 'দর্শকের ভালোবাসাটুকুই আমার সেরা প্রাপ্তি। ওঁরাই তো আমাদের মত শিল্পীদের দেবতা। তাই দর্শকের প্রশংসা পেলে ভালো লাগার পাশাপাশি কাজের প্রতি দায়ও বাড়ে। হ্যাঁ, কালীদাকে নিয়ে ছবি তৈরি করার অনুরোধ কিংবা হইচই যাইই বলুন, আমারও কানে এসেছে'।
তবে কী অদূর ভবিষ্যতে বড়পর্দায় ফের একবার দেখা যাবে কালীদাকে? নিরুত্তাপ গলায় পরাণবাবু ফের বলে উঠলেন, 'দেখুন আমি এই ছবিতে অভিনয় করে তৃপ্ত এটুকু বলতে পারি। কালীদাকে নিয়ে যদি আলাদা ছবি তৈরি হয়, তো আমার বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই। ভালোই লাগবে। এই তো সেদিন শুভেচ্ছা জানাতে সুজয় ঘোষ ফোন করেছিল। বলল মুম্বইতে নাকি 'কালীদা'কে নিয়ে হইচই পড়ে গেছে। ওখানকার পত্র-পত্রিকায় নাকি বিস্তর লেখালেখি হয়েছে। সবাই নাকি সুজয়কে বলছে এবার শুধু 'কালীদা'কে নিয়েই আস্ত ছবি তৈরি হোক। সুজয় যে এ ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, এটুকু বলতে পারি'।
প্রসঙ্গত, বিখ্যাত বলি-প্রযোজক প্রীতিশ নন্দীও সম্প্রতি 'বব বিশ্বাস' সমন্ধে টুইট করেছেন, 'এবার কি তবে এই ছবির সিক্যুয়েল 'কালী-দা?' অন্যদিকে অভিষেক বচ্চনও 'বব বিশ্বাস'-এর সুবাদে পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করতে পেরে উচ্ছ্বসিত। 'বব বিশ্বাস' এর পরিচালক দিয়া অন্নপূর্ণা ঘোষ জানিয়েছিলেন তিনি চেয়েছিলেন 'কালীদা' চরিত্রটি দর্শকদের ভালোবাসা কুড়োনোর পাশাপাশি বেশ খানিকটা রহস্যময়ও হয়। অর্থাৎ দর্শকদের আগ্রহ যেন 'কালীদা'র প্রতি ছবির শেষপর্যন্ত বজায় থাকে। 'বব বিশ্বাস' নিয়ে যাইই সমালোচনা হোক না কেন 'কালীদা'র ক্ষেত্রে যে পরিচালক ভীষণভাবে সফল, সেকথা লেখাই বাহুল্য।