ববি দেওল তাঁর ছোটবেলায় অভিনেতা বাবা ধর্মেন্দ্রের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা খুলে বলেছিলেন। 'হিউম্যানস অফ বোম্বে'-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, অভিনেতা জানিয়েছিলে কীভাবে ধর্মেন্দ্রের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধন তৈরি করতে তাঁকে রীতিমতো লড়াই করতে হয়েছিলেন। কারণ অভিনেতা সেই সময় তাঁর ছবির কাজ এবং কেরিয়ার নিয়ে সব সময় ব্যস্ত থাকতেন।
ওই সাক্ষাৎকারে সঞ্চালক যখন ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, তখন ববি বলেছিলেন, 'সেই সময়ে এটাই স্বাভাবিক ছিল। কারণ আমার বাবা একটি ছোট শহর থেকে এসেছিলেন। তাঁর সমাজ, সংস্কৃতি এবং পথ সবটা আলাদা ছিল। তিনি সারাদিনই খুব ব্যস্ত থাকতেন, তিনি সব সময় কাজে থাকতেন। আমি তাঁকে কয়েক ঘন্টার জন্য দেখতে পেতাম আর সেই সময়টা ছিল গভীর রাত বা ভোর।'
আরও পড়ুন: 'পৌরাণিক এবং ধর্মীয় বিষয় নিয়ে কাজ দ্রুত অর্থ উপার্জনের মাধ্যম…' কেন এমন বললেন প্রসূন যোশী?
ববি দেওল আরও বলেন, 'আমি ভয় পাইনি। এটা সম্মান ছিল। যখন কেউ বড় হয়, তখন সে সম্মান করা এবং ভয় পাওয়ার মধ্যে ফারাক বুঝতে পারে না। তবে আমি ভয় পেতাম না। ওটা সম্মান ছিল, কিন্তু আমরা সেই সময়ে আমাদের বাবা মায়ের সঙ্গে সহজে সরাসরি যে কোনও বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারতাম না। কিন্তু গল্প এখন বদলে গিয়েছে। পুরো ব্যাপারটাই উল্টো। ওঁদের এখন বয়স্ক হয়ে গিয়েছে, ওঁরা এখন দুর্বল। এখন আমাদের ওঁদেরকে দেখাশোনা করতে হবে... সব কিছু বদলে যায়, এটাই জীবনচক্র।'
আরও পড়ুন: ‘ধুম ৩’-এর জন্য ‘রামলীলা’ ছাড়তে হয়েছিল চিত্রগ্রাহক সুদীপ চট্টপাধ্যায়কে! সে প্রসঙ্গ যা বললেন তিনি
প্রসঙ্গত, ববিকে কাজের সূত্রে শেষ দেখা গিয়েছিল সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার বহুল চর্চিত ছবি 'অ্যানিম্যাল'-এ। এখানে তাঁকে খলনায়কের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল। ছবিতে তাঁর একটি গান রীতিমতো ভাইরাল হয়েছিল। তাঁর সেই ভাইরাল গান 'জামাল কুদু'-এর ছন্দে গোটা দেশ দুলে উঠেছিল। তাঁর নাচের স্টাইল সবার মন জয় করে নিয়েছিল। অনেকেই বলেছিলেন ওই ছবির মাধ্যমে তিনি আবার নতুন করে কামব্যাক করেছেন। অনেকে তাঁকে 'লর্ড ববি' নামও দিয়েছিল। এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন রণবীর কাপুর। তাছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রণবীরের বিপরীতে দেখা গিয়েছিল রশ্মিকা মন্দানা এবং তৃপ্তি দিমরিকে। বর্তমানে তিনি আলিয়া ভাট এবং শর্বরীর ছবি 'আলফা'-এর শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত। এই ছবিতেও তাঁকে খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যাবে। এটি YRF-এর স্পাই ইউনিভার্সের একটি ছবিটি। ছবিটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন শিব রাওয়াইল।
১৯৮০ সালে ধর্মেন্দ্র দ্বিতীয় বিয়ে করেন হেমা মালিনিকে। তখন ববির বয়স ছিল মাত্র ১১ বছর। যদিও হেমাকে বিয়ে করলেও, তিনি প্রথম বউ প্রকাশ কৌর ও প্রথমপক্ষের সন্তানদের ছাড়েননি। এখনও তিনি ছেলে ও প্রথম স্ত্রীর সঙ্গেই থাকেন। আলাদা থাকেন হেমা ও তাঁর দুই মেয়ে এশা ও অহনা দেওল।