দুই বাংলায় যশ দাশগুপ্তর অনুরাগীর সংখ্যা রীতিমতো তাক লাগায়। টলিউডের এই হিরো ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দা সর্বত্রই মু্গ্ধতা ছড়িয়েছেন। ‘বোঝে না সে বোঝে না’-র অরণ্য সিংহ রায় আজও ঘর করে রয়েছে লক্ষ তরুণীর হৃদয়ে। টলিউডেও গত পাঁচ বছর চুটিয়ে কাজ করে চলেছেন এই তারকা। তবে শুধু টলিউড নয়, যশ কিন্তু মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন বলিউডেও।
ভাবছেন ব্যাপারটা কী? যশের সাম্প্রতিক এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে অভিনেতাকে ‘কলকাতার সবচেয়ে সুদর্শন নায়ক’-এর তকমা দিলেন বলিউড অভিনেতা রণিত রায়। সম্প্রতি সাদা টি-শার্ট আর ব্লু ডেনিম জ্যাকেটে রোদচশমা চোখে একাধিক ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন যশ। সেই ছবির মন্তব্য বাক্সেই ‘শ্যুটআউট অ্যাট লোখন্ডওয়ালা’ খ্যাত রণিত প্রশংসায় ভরিয়ে দেন যশকে। ‘গ্যাংস্টার’ তারকাকে শুধু 'কলকাতার সবচেয়ে সুদর্শন নায়ক' বলে থেমে যাননি রোহিত, তিনি পাশাপাশি যোগ করেন, ‘আমি লিখতে চেয়েছিলাম পুরো দেশে তুমি সব চেয়ে সুদর্শন। কিন্তু তার পর ভাবলাম আমার বলিউডের বন্ধুরা অসন্তুষ্ট হতে পারে। ভাল থেকো।’
রোহিত রায়ের কাছে থেকে এহেন প্রশংসা বাণী শুনে আপ্লুত স্বয়ং যশ। কমেন্ট বক্সে রোহিতকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি তিনি। উল্লেখ্য, রোহিত রায়ের দাদা রণিত রায়ের সঙ্গে কাজ করেছেন যশ। ‘পাগল প্রেমী’র সঙ্গে শুরু হয়েছিল যশের অভিনয় কেরিয়ার। এরপর দীর্ঘ কয়েক বছর মুম্বইয়ের টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন অভিনেতা। বালাজি টেলিফিল্মসের ‘বন্দিনী’ ধারাবাহিকে রণিত রায়ের ছেলের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন যশ। কালার্স চ্যানেলের ‘না আনা ইস দেশ লাডো’ সিরিয়ালেও কাজ করেছেন যশ দাশগুপ্ত।
এরপর মুম্বই থেকে ফিরে টলিগঞ্জে নতুন ইনিংস শুরু করেন যশ। ২০১৩ সালে স্টার জলসার ধারাবাহিক ‘বোঝে না সে বোঝে না’ ছিল যশের কেরিয়ারের মোড় ঘোরানো মাইলস্টোন। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে বিরসা দাশগুপ্তের ‘গ্যাংস্টার’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় প্রথম সাফল্যের মুখ দেখেন যশ। এই ছবিতে যশের নায়িকা ছিলেন মিমি চক্রবর্তী। সদ্যই নিজের আসন্ন প্রোজেক্টের ঘোষণা সেরেছেন যশ। শীঘ্রই এনা সাহার বিপরীতে ‘চিনে বাদাম’ ছবির কাজ শুরু করবেন তিনি।