বলিউডের নামি হিরোইন তিনি। বাবাও বলিউড থেকেই। স্টারকিড হওয়ায় কেরিয়ারের শুরুটা হয়েছিল সলমন খানের নায়িকা হয়ে। তবে তারপর মোটা কটাক্ষে জেরবার হতে থাকেন। শোনা যায়, তিনি নাকি ওজন কমাতে লাইপোসাকশন সার্জারিও করিয়েছেন। আজ অভিনেত্রী পা রাখলেন ৩৭ বছরে।
এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গিয়েছেন, ছবিগুলি সোনাক্ষী সিনহার ছোটবেলার। অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহার সুযোগ্য কন্যা তিনি। প্রথম সিনেমা ছিল দাবাং, সলমন খানের সঙ্গে। তবে এই সিনেমায় সুযোগ পেতেই ভালোই কালঘাম ছুটেছিল তাঁর।
আরও পড়ুন: ‘বামপন্থীদের এসব এড়িয়ে চলা ভালো…’! ভোট মিটতেই CPIM-এর নামে কী বলে বসলেন অনিন্দ্য
১৯৮৭ সালের ২ জুন সোনাক্ষী সিনহার জন্ম। পড়াশোনা শেষ করার পর একজন কস্টিউম ডিজাইনার হিসেবে শুরু করেন কর্মজীবন। সিনেমায় নামার আগে তিনি ডিজাইনিংকেই বেছে নিয়েছিলেন কেরিয়ার হিসেবে। ২০০৫ সালের 'মেরা দিল লেকে দেখো' ছবিতে ডিজাইনার হিসেবে কাজও করেছিলেন সোনাক্ষী।
একটি ফ্যাশন শো-তে অংশ নেওয়া থেকে সোনাক্ষীর হাতে আসে দাবাং-এর অফার। সেই ফ্যাশন শো-তে সোনাক্ষীকে দেখেই পছন্দ হয়ে যায় সলমনের। তিনি ঠিক করেন, এই মেয়েটিকেই নেবেন দাবাং ছবিতে। তবে একটি শর্ত রেখেছিলেন।
আরও পড়ুন: মায়ের সঙ্গে ডিনার ডেট! ফুল-ফুল জামায় বেবিবাম্প লোকানোর চেষ্টা দীপিকার, কতটা বড় হল পেট
একবার কপিল শর্মা-র শো-তে এসে সোনাক্ষী জানান, ‘তিনি আমার কাছে এসেছিলেন এবং আমাকে ওজন কমাতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। তিনি আমাকে তাঁর ছবিতে কাস্ট করার জন্য উত্তেজিত ছিলেন। তবে তার আগে ওজন কমাতে হত।’
আরও পড়ুন: শহরে নেই, তাই ভোট দেওয়া হয়নি! দূরে জঙ্গলে ঘেরা বাংলোয় একান্তে ধরা দিলেন নীল-তৃণা
আরবাজ খানের পডকাস্ট শো-তেও এক নিয়ে কথা বলেন তিনি। বলতে শোনা যায়, ‘দাবাং করার আগে, আপনি নিশ্চয়ই দেখেছেন আমি কতটা মোটা ছিলাম। আমি অস্বাস্থ্যকর ছিলাম, আমি মোটেও ফিট ছিলাম না এবং আপনার ছবির জন্য (আরবাজ খান প্রযোজিত দাবাং) ৩০ কেজি ওজন কমিয়েছিলাম।’ একবার সোনাক্ষী প্রকাশ করেছিলেন, মাত্র ১৬ বছর বয়সে তাঁর ওজন হয়েছিল ৯৫ কেজি। স্কুলে বন্ধুরা যা নিয়ে কটাক্ষ করত। হতে হয়েছিল বডি শেমিংয়ের শিকার।
লম্বা কেরিয়ারে বেশ কিছু হিট দিয়েছেন সোনাক্ষী। যার মধ্যে আছে রাওডি রাঠোর, লুটেরা, ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন মুম্বই, কলঙ্ক, মিশন মঙ্গল। অভিনেত্রীকে শেষ দেখা গিয়েছে সঞ্জয় লীলা বনশালির ওয়েব সিরিজ হীরামান্ডি-তে। তাও আবার দ্বৈত চরিত্রে। নেটফ্লিক্সে প্রিমিয়ার হয়েছে সেটির।