বলিউডের লাইমলাইট থেকে হামেশা দূরে থাকার চেষ্টা করেছেন সীমা খান। তবে লাইমলাইট যে তাঁর থেকে দূরে থাকে সেটা বলা যাবে না, কারণ বি-টাউনের অন্যতম চর্চিত পরিবারের একমাত্র পুত্রবধূ তিনি। আরবাজ-মালাইকার ডিভোর্সের পর খান পরিবারের একমাত্র বউমা সীমা। যদিও সোহেলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই এক ছাদের তলায় থাকেন না তিনিও। সম্প্রতি নেটফ্লিক্সের রিয়ালিটি সিরিজ ‘ফ্যাবুলাস লাইফস অফ বলিউড ওয়াইভস’-এ দেখা গিয়েছে সীমাকে।
সোহেল ঘরনি জানিয়েছেন, তিনি ব্যক্তিগত ভাবে বাঁচতে পছন্দ করেন। কিন্তু তাঁর সমস্যা এটতাও বড় নয় যে ক্যামেরার সামনে সবকিছু তুলে ধরতে হবে। পেশায় ফ্যাশন ডিজাইনার সীমা জানিয়েছেন, তাঁর সমস্যাটা আলাদা ধরণের। তিনি যখন এই শো (ফ্যাবুলাস লাইফস অফ বলিউড ওয়াইভস) করার সিদ্ধান্ত নেন, তিনি সঙ্গে এটাও ঠিক করেন নিজের ১০০ শতাংশ দিয়ে কাজ করবেন। তিনি অভিনেত্রীও নন, এর আগে কোনো দিনও ক্যামেরার সামনে কাজ করেননি তিনি। এটা তাঁর কাছে খুব সাহসের কাজ ছিল। তিনি কারও কাছে সংবেদনশীল হতে চাইছিলেন না।
সীমা এই সিরিজে মন্তব্য করেছেন সোহেলের সঙ্গে তাঁর বিয়েটা অনেকটা মু্ক্ত সম্পর্ক। তিনি আরও জানিয়েছেন, শো-তে যা দেখানো হয়েছে তা সম্পূর্ণ সত্যি। তিনি যা বলতে চেয়েছেন বা তুলে ধরতে চেয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে সেটাই তুলে ধরা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শো-তে অনেক স্টার কিডকে দেখানো হয়েছে। তাঁর দুই পুত্র নির্বান, ইয়োহান, সঞ্জয় কাপুর কন্যা শানায়া, ছেলে জাহান, শাহরুখ কন্যা সুহানা সহ একাধিক তারকা সন্তানকে দেখানো হয়েছে। দর্শকরা ভাবতেই পারে এটা অডিশন শো রিল চলছে। তখনই তিনি খোলসা করে বলেন, এটা বাস্তবের ওপর ভিত্তি করে একটা শো। নারীদের জীবনের একটা বড় অংশ জুড়ে থাকে তাঁদের পরিবার এবং সন্তান। সন্তানরাই তাঁদের প্রাণ। তাঁরা বাস্তবের বাইরে নয়'।
এরপরই ‘নেপোটিজম বিতর্ক’ নিয়ে বলতে গিয়ে সীমা বলেন, তাঁর সন্তান যদি অভিনয় জগতে পা রাখতে চায় সেখানে প্রতিভাই শেষ কথা বলবে। ইন্ডাস্ট্রিতে এমন অনেক অভিনেতা রয়েছেন যাঁরা ফিল্মি পরিবার থেকে এসেছে, সেই তালিকায় তাঁর স্বামী সোহেল খানও রয়েছেন। নেপোটিজম, তারকা সন্তান মানেই এটা নয় যে, কাজ করবে আর সফল হয়ে যাবে। দিনের শেষে কতটা চেষ্টা করেছে, নিজের শিল্পের প্রতি কেউ কতখানি সিরিয়াস সেই বিষয়টাও ভেবে দেখার। জীবনের এই মন্ত্রটাকে তিনি নিজেও মেনে চলেন। নিজের সন্তানদেরও সেভাবেই চলতে শেখাচ্ছেন।