পঞ্চম পরীক্ষাতেও কনিকা কাপুরের শরীরের মিলল করোনাভাইরাস! প্রত্যেক করোনা আক্রান্তের নমুনা ৪৮ ঘন্টা অন্তর পরীক্ষা করা হয়। আপাতত লখনউয়ের সঞ্জয় গান্ধী পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউড অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে গত ২০ মার্চ থেকে ভর্তি রয়েছেন কনিকা। হাসপাতালের ডিরেক্টর আর কে ধীমান জানিয়েছেন কনিকার অবস্থা স্থিতিশীল,চিন্তার কোনও কারণ নেই।
রবিবার ইনস্টাগ্রামে একটি ইমোশ্যানাল বার্তা পোস্ট করেছিলেন কনিকা। লিখেছিলেন তিনি আশাবাদী পরের পরীক্ষায় তাঁর শরীরে Covid-19-এর উপস্থিতি ধরা পড়বে না। কিন্তু ফের একবার আশাহত হতে হল কনিকাকে। তাতেই মন খারাপ গায়িকার। জানা যাচ্ছে সন্তানদের কথা ভেবেই চোখের জল ফেলছেন কনিকা। এই জনপ্রিয় গায়িকা লিখেছিলেন 'জীবন আমাদের সময়ের সদ্ব্যবহার করতে শেখায় এবং সময় আমাদের শেখায় জীবনকে আরও বেশি মূল্য দিতে'। এই পোস্টের ক্যাপশন হিসাবে কনিকা লেখেন,'ঘুমোতে যাচ্ছি, তোমাদের সবার জন্য অনেক ভালোবাসা। সুরক্ষিত থাকুন। আমাকে নিয়ে এত চিন্তা করার জন্য ধন্যবাদ কিন্তু আমি আইসিইউ-তে নেই। আমি ঠিক আছি। আশা করছি আমার পরের পরীক্ষাটি নেগেটিভ আসবে। বাড়ি যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। পরিবার ও আমার সন্তানদের খুব মনে পড়ছে'।
গত রবিবার চার নম্বর পরীক্ষাতেও কনিকা কাপুরের শরীরে মিলেছিল করোনা ভাইরাস।তারপর থেকেই উদ্বিগ্ন গায়িকার পরিবার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সদস্য জানান, ‘এবার আমরা সত্যিই কনিকা টেস্ট রিপোর্ট নিয়ে চিন্তিত। মনে হচ্ছে কনিকা চিকিত্সায় কোনওরকম সাড়া দিচ্ছেন না, আর লকডাউনের এই পরিস্থিতিতে কনিকা এয়ারলিফট করে চিকিত্সার জন্য অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভবকর নয়। আমরা শুধু ওর সেরে উঠবার জন্য প্রার্থনা করতে পারি’।
কনিকা ৯ মার্চ লন্ডন থেকে ফিরে নিজেকে কোয়ারেন্টাইনে না রেখে কেন একের পর এক শহরে ঘুরে বেড়ালেন সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। গায়িতার দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণে ক্ষুদ্ধ নেটিজেন থেকে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। আগেই কনিকার বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় এফআইআর দায়ের করেছেন লখনউয়ের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।