এই যে অভিনেতার ছবি দেখছেন, তাঁকে বলিউডের অন্যতম প্রতিষ্ঠিত হিরো হিসেবে মানা হয়। তিনি নিজেই ব্র্যান্ড। বছরে ৩-৪টি ছবি করে থাকেন। তবে কয়েক বছর ধরে সেভাবে হিটের মুখে দেখেননি। সরাসরি রাজনীতিতে নাম না লেখালেও, বিজেপি ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত তিনি। এখানেই শেষ নয়, এই অভিনেতার মোদী-প্রেম মাঝেমঝেই তাঁকে ফেলে ট্রোলে।
কিছুদিন আগে অবধিও তিনি ভারতের নাগরিক ছিলেন না। তাই লোকে ট্রোল করে বলত ‘কানাডা কুমার’। যদিও ২০২৩ সালের ১৫ অগস্ট তিনি ভারতের পাসপোর্ট পান ফের একবার। সেই ছবিও বেশ গর্ব করে শেয়ার করে নিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আর এই কানাডার বাসিন্দা হওয়াও কিন্তু ছিল ফ্লপের চক্করে পড়েই। সেই সময় টানা ১৪-১৫টি সিনেমা ফ্লপ করে। অভিনেতা এক বন্ধু, যিনি কানাডার বাসিন্দা, অক্ষয়কে পরামর্শ দেন, কানাডা চলে এসে নতুন করে কেরিয়ার শুরু করার। দুজনে করবে কার্গোর ব্যবসা। তবে সেই দেশের আইনি ব্যবস্থাপনার কাজ শেষ হওয়ার আগেই, বলিউডে দু দুটো ছবি হিট করে যায়। ব্যস, অক্ষয়ের আর কানাডা যাওয়া হয় না। অভিনেতার দাবি ছিল, তিনি একপ্রকার ভুলেই গিয়েছিলেন ফের নথি বদলানোর কথা। তবে বিজেপি-ঘনিষ্ঠতা আরও স্পষ্টভাবে বললে, মোদী-ঘনিষ্ঠতা তাঁকে ফেলে দেয় বড় ট্রোলে। আর অক্ষয়ও বাধ্য হন, ফের একবার ভারতের নাগরিক হতে।
আরও পড়ুন: ‘অ্যাই’ বলে পাপারাজ্জিকে ধমক লাগাল ৩ বছরের জেহ! সইফ ফিরেও তাকাল না, করিনা তারপর…
২০১০ সাল থেকে ২০২০ এই ১০ বছরে একগুচ্ছ হিট সিনেমা উপহার দেন অক্ষয় কুমার। সেই সময়, দর্শক মধ্যে প্রচলিত ছিল, খিলাড়ি কুমারের সিনেমা মানেই হিট। এই সময়কালে এসেছিল ওএমজি, দেশি বয়েজ, হাউজফুল ২, হলিডে, এয়ারলিফট, টয়লেট এক প্রেম কথা, প্যাডম্যান, মিশন মঙ্গল, গুড নিউজের মতো সিনেমা। তবে এরপরই যেন হঠাৎ ভাটা আসে কেরিয়ারে।
২০২০ সালে করোনা লকডাউনের পরবর্তী চার বছরে ১৫টিরও বেশি ছবি এসেছে তাঁর। তবে হিট করেছে মাত্র দুটি, সূর্যবংশী আর ওএমজি ২। এমনকী, এই ফ্লপ নিয়ে যে অক্ষয় নিজেও চিন্তিত, তা ধরা পড়েছে তাঁর কথাতেই। অভিনেতাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘মায়ের মৃত্যুর পর আমার একটা ছবিও হিট করেনি। এখনও শ্যুটিং শেষে মায়ের ঘরে গেলেই আমার চোখে জল এসে যায়।’ এখন দেখার নিজের পুরনো হিট-মন্ত্রা ফের কবে ফেরত পান তিনি!