বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে কঙ্গনা রানাওয়াতের অফিস ভেঙে দিয়েছে বিএমসি। তার বিরুদ্ধে বম্বে হাইকোর্টে মামলা করেছে অভিনেত্রী। এদিন বিচারক কাঠাওয়ালা ও বিচারক চাগলার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি অব্যাহত থাকে। কঙ্গনার পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে নিয়ম, নীতির তোয়াক্কা না করে বেআইনি ভাবে অফিস ভেঙেছে পুরসভা। সেই প্রসঙ্গে, সাধারণত কত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়, বিএমসির থেকে তা জানতে চেয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিন কঙ্গনার আইনজীবী বিরেন্দ্র সরাফ বলেন যে কিছু লোকের সঙ্গে অভিনেত্রীর বিবাদের ফলেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ১০.৩০ এ বাড়ি ভাঙা শুরু হলেও ১০.১৯-এ ইমেলে সেই কথা জানান হয় বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন ২০১৭ সালে এই বাড়িটি কেনেন অভিনেত্রী। সমস্ত নিয়ম মেনে ২০১৯ সালে সারাইয়ের কাজ শুরু হয় ও জানুয়ারি ২০২০ তে সেটা শেষ হয়।
কঙ্গনার আইনজীবী বলেন যে সঞ্জয় রাউত যেদিন কঙ্গনাকে হুমকি দেন সেদিনই বিএমসির এক অফিসার আসে বাড়িতে। এটি কাকতালীয় নয় বলেই তাঁর দাবি। বাড়ি ভাঙার নোটিস কম্পাউন্ডে লাগানোর আগেই বুলডোজার নিয়ে কর্তৃপক্ষ হাজির হয় বলে কঙ্গনার উকিল বলেন।
কর্তৃপক্ষের জমা দেওয়া রিপোর্ট ও ওখানে যে নোটিস দেওয়া হয়েছিল, তার মধ্যে কিছু ফারাক আছে, এই বিষয়টি খেয়াল করেন বিচারক কাঠাওয়ালা। যদি গ্রাউন্ড ফ্লোরে কাজ হচ্ছিল না, শুধু ঢোকার জায়গাটি বদল করা হয়েছিল বিএমসি নোটিশ মোতাবেক, তাহলে পুরো তলাটি ভাঙা হল কেন, সেই প্রশ্নও করেন তিনি।
বিএমসি হলফনামায় নানান অসঙ্গতির কথা তুলে ধরেন কঙ্গনার উকিল। একই সঙ্গে বাড়ির কোনও স্কেচ জমা দেওয়া হয়নি, কোন জায়গাগুলি বেআইনি ছিল সেই নিয়েও বলে জানান তিনি।
যখন এই বাড়ি ভাঙা হচ্ছিল সেই সংক্রান্ত শুনানি চলছিল হাইকোর্টে। কিন্তু সে কথা বলার পরেও বিএমসি নিজেদের কাজ বন্ধ করেনি বলে অভিযোগ করেন কঙ্গনার আইনজীবী। তিনি বলেন প্রায় ৮০-৮৫ শতাংশ বাড়িটির ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। বিএমসির আইনজীবীকে হাইকোর্ট বলে যে ডিটেক্টশন ডায়েরি দেখে জানাতে হবে অন্য মামলার ক্ষেত্রে এত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয় কি না। এদিনের জন্য শুনানি মুলতুবি হয়ে যায় এর পর। ফের আগামী সোমবার চলবে শুনানি।