কঙ্গনা রানাওয়াতের রক্ষাকবচের মেয়াদ সোমবার বাড়িয়ে দিল বম্বে হাইকোর্ট। আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত গ্রেফতার করা যাবে না কঙ্গনা রানাওয়াত ও তাঁর দিদি রঙ্গোলি চান্দেলকে। মুম্বই পুলিশের এফআইআরে কঙ্গনা ও তাঁর দিদির বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। এবং এই সময়কাল পর্যন্ত অভিনেত্রী ও তাঁর দিদিকে জেরার জন্য নতুন কোনও সমন জারি করতে পারবে না পুলিশ, পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে আদালত।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন কঙ্গনা ও রঙ্গোলি , এই অভিযোগে বান্দ্রা আদালতের নির্দেশে মুম্বই পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছিল অক্টোবর মাসে। ফিটনেস ট্রেনার মুনাওয়ার আলি সৈয়দের পিটিশনের ভিত্তিতে এই রায় দেয় আদালত। এই এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়ে নভেম্বরে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কঙ্গনা ও রঙ্গোলি।
এফআইআরে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪-এ (রাষ্ট্রদ্রোহ), ১৫৩-এ (ধর্ম, বর্ণের ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর ঘৃণা ছড়ানো), ২৯৫-এ (ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দিতে ইচ্ছাকৃত কাজ) এবং ৩৪ ধারা (একই অভিপ্রায়) অনুযায়ী মামলা দায়ের করে মুম্বই পুলিশ।
দুই ভাইয়ের বিয়ে নিয়ে ব্যস্ত কঙ্গনা ও রঙ্গোলি মুম্বই পুলিশের তিনটি সমন উপেক্ষা করবার পর বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই এফআইআর খারিজ করবার উদ্দেশ্যে। কঙ্গনা ও রঙ্গোলির বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মধ্যে গুরুতর অভিযোগ আনার বিষয়ে বিস্ময় নভেম্বর মাসেই প্রকাশ করেছিল হাইকোর্ট। বম্বে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বিস্ময়ের সুরে সরকারি আইনজীবীকে প্রশ্ন করে, ‘কেউ যদি সরকারের সুরে সুর না মেলান তাহলেই কি সেটা রাষ্ট্রদ্রোহ বলে বিবেচিত হবে’?
তবে পুলিশের জারি সমনের মর্যাদা দিতে কঙ্গনা ও রঙ্গোলিকে থানায় হাজির হওয়ার কথা জানিয়েছিল কোর্ট। সেই অনুযায়ী গত ৮ জানুয়ারি বান্দ্রা থানায় পৌঁছেছিলেন কঙ্গনা ও রঙ্গোলি চান্দেল। মুম্বই পুলিশে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েন অভিনেত্রী।