'হাম দো হামারে বারাহ' ছবিটি মুক্তির আগেই বিতর্কে ঘেরা। ৭ জুন শুক্রবারই মুক্তি পাচ্ছে ছবিখানা। পোস্টার প্রকাশের পর থেকেই বিতর্ক জড়ো হয়েছিল। ২ দিন আগেও বোম্বে হাইকোর্ট ছবির মুক্তির উপরে জারি করেছিল নিষেধাজ্ঞা। অবশেষে মুক্তির দিন সকালেই, সিনেমা মুক্তির উপর থেকে প্রত্যাহার তুলে নিল আদালত। নির্মাতারা আদালতের দেওয়া শর্ত মেনে, সিনেমার দুটি ডায়লগ বদলাতে রাজি হয়েছে।
'হাম দো হামারে বারাহ' ছবির পোস্টারে সিনেমার বাকি কলাকুশলীদের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল অন্নু কাপুরকে। দেখে মনে হচ্ছে অন্নু একটি মুসলিম পরিবারের প্রধানের ভূমিকায় অভিনয় করছেন এবং তার ১১টি সন্তান রয়েছে, যখন স্ত্রী আবারও গর্ভবতী। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের একাংশ সিনেমার পোস্টারটিকে 'নির্লজ্জ ইসলামোফোবিয়া' এবং 'জনসংখ্যা বিস্ফোরণের কারণ হিসাবে' মুসলিমদের চিত্রিত করার জন্য দোষি সাব্যস্ত করে। যদিও চলচ্চিত্রটির পরিচালক কমল চন্দ্রের দাবি যে, অন্নু কাপুরের ছবির পোস্টারটি ‘মোটেও আপত্তিকর নয়’।
আরও পড়ুন: কে বলবে ২ সন্তানের মা! জলের ধারে বিকিনিতে শুভশ্রী, সঙ্গে ইউভান-রাজ, ইয়ালিনি নামল পুলে?
এদিকে, কর্ণাটক সরকার 'হাম দো হামারে বারাহ' সিনেমাটিকে দুই সপ্তাহের জন্য বা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেই রাজ্যে মুক্তি বা সম্প্রচার নিষিদ্ধ করেছে। কর্ণাটক সিনেমা রেগুলেশন অ্যাক্ট ১৯৬৪, সেকশন ১৫(১) এবং ১৫(৫) অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরী মহিলার জন্য চমক! অনন্ত-রাধিকার প্রি ওয়েডিংয়ে হয়েছিল এক বড় কাণ্ড, দেখুন ভিডিয়ো
কর্ণাটক সরকারের অভিযোগ, 'হামারে বারাহ' মুক্তি রাজ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি করবে। বেশ কয়েকটি সংখ্যালঘু সংগঠন এবং প্রতিনিধিদের অনুরোধ বিবেচনা করে এবং ট্রেলারটি দেখার পরে কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কমল চন্দ্রের পরিচলনায় আসা সিনেমাটি বীরেন্দ্র ভগত, রবি এস গুপ্তা, সঞ্জয় নাগপাল এবং শিও বালক সিং যৌথভাবে প্রযোজনা করেছেন।
আরও পড়ুন: প্রথম বউ থাকতেই, হেলেনের সঙ্গে সম্পর্ক! সলমন-আরবাজকে হোস্টেলে পাঠান বাবা সেলিম
এর আগে অন্নু কাপুর হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, 'হাম দো হামারে বারাহ'-তে আমাদের যিনি লেখক, তিনি একজন মুসলিম। পরিস্থিতির কারণে তিনি এখন আরও বেশি কষ্ট পাচ্ছেন। আমি একজন নাস্তিক। প্রাণনাশের হুমকির কারণে পুলিশকে পুরো মহিলা কাস্টের বাড়িতে যেতে হচ্ছে। কিছু ধর্মান্ধ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ করছে এবং ঘৃণা ছড়াচ্ছে। সতর্কতা হিসেবে আমাদের পুলিশ ও আদালতকে জানাতে হয়েছে।