গলাই হিট করে দেয় গানকে। তা সে পার্টি মিউজিক হোক বা দুঃখের গান, অরিজিতের গলা পড়লেই যেন সেই গানের হিট হবেই হবে। তবে এখন AI (আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্স)-এর যুগে, গলা নকল করাএখন বাঁ হাতের কাজ হয়ে গিয়েছে। চলছেও এরকম বহু কিছু। ছবি নকল করা হচ্ছে, সই নকল করা হচ্ছে। তবে এসব জোচ্চুরি থেকে নিজের আওয়াজকে বাঁচাতে বড় পদক্ষেপ অরিজিতের। ছুটেছিলেন আদালতে। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রায় এল, বাণিজ্যিক কিংবা ব্যক্তিগত স্বার্থে কোনওভাবেই একজন মানুষের ব্যক্তিত্বের অধিকারকে লঙ্ঘন করা যাবে না।
২৬ জুলাই ছিল অরিজিতের করা এই পিটিশনের শুনানি। আর তাতে বিচারপতি রিয়াজ চাগলা বলেন, বাণিজ্যিক স্বার্থে একজন সেলেব্রিটির ব্যক্তিত্বকে নষ্ট করা যায় না। ‘বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা সমালোচনা এবং মন্তব্যের অনুমতি দেয় কিন্তু বাণিজ্যিক লাভের জন্য একজন সেলিব্রিটির ব্যক্তিত্বকে কাজে লাগানোর লাইসেন্স দেয় না’, বলেন রিয়াজ। AI টেকনোলজি ব্যবহার করে অরিজিতের কণ্ঠ-সহ কোনও কিছুই কোনও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, বিজ্ঞাপন-সহ কোনও ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যাবে না।
বলিউডের এই বিখ্যাত গায়কের অভিযোগ ছিল, বিনা অনুমতিতে একাধিক AI ক্রিয়েটর তাঁর কণ্ঠ এবং গান গাওয়ার ধরনকে ব্যবহার করেছে। এখানেই শেষ নয়, কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম তাদের পণ্যে গায়কের ছবি, সই-সহ ব্যবহার করছে। তাঁর নাম না নিয়েই। এখানেই শেষ নয়, অরিজিতের নামে একাধিক ওয়েবসাইট চলছে। এসব বন্ধ করতেই আদালতে যাওয়া।
গায়কের আইনজীবী হিরেন কামোদ বলেন, তাঁর মক্কেল (অরিজিৎ) দীর্ঘদিন ধরে কোনও ব্র্যান্ড এন্ডর্সমেন্টের সঙ্গে যুক্ত নন। বম্বে হাইকোর্ট বিনা অনুমতিতে চলা ওইসব কনটেন্ট সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন আটটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে।