২০২০-র সেপ্টেম্বরেই শেষ হয়েছে পাসপোর্টের মেয়াদ। কিন্তু তা রিনিউ করতে পারছেন না কঙ্গনা রানাওয়াত। বোম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েও কোনও উপকার হচ্ছে না! সম্প্রতি পাসপোর্ট অফিসের পক্ষ থেকে বোম্বে হাইকোর্টে জানানো হল, অভিনেত্রীকে তাঁর পাসপোর্টের রিনিউর আবেদনপত্রে বেশ কিছু বদল করতে হবে। কারণ তাতে বেশ কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। তারপরেই পাসপোর্ট অফিসের পক্ষ থেকে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া ও অভিনেত্রীর ট্র্য়াভেল ডকুমেন্ট রিনিউ করা সম্ভব হবে।
এদিন রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিসের পক্ষ থেকে হাজির ছিলেন অ্যাডিশনাল সলিসিটার জেনারেল অনিল সিং। তিনি দুই বিচারক এসএস শিন্ডে ও রেবতী মোহিতে-ধীরেকে জানান, কঙ্গনার বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল কেস আছে। যদিও প্রাথমিকভাবে FIR দায়ের করা হয়েছে, এখনও ক্রিমিনাল প্রসিডিওর শুুরু হয়নি। সিং হাইকোর্টকে জানান, যদি কঙ্গনার আইনি পরামর্শদাতা ব্যারিস্টার রিজওয়ান সিদ্দিকি ওই ঘটনা আদালতের সামনে স্পষ্টভাবে তুলে ধরেন ও পাসপোর্ট অ্যাপলিকেশনে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করেন, তবে পাসপোর্ট অফিসার কঙ্গনা রানাওয়াতের আবেদন ভেবে দেখতে পারেন। দুই বিচারপতির বেঞ্চ মেনে নিয়েছে সিং-এর এই আবেদন।
পাসপোর্ট রিনিউয়্যাল অথোরিটি-র তরফে অভিনেত্রীকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহীতার মামলা রুজু থাকায় বম্বে হাইকোর্টের নির্দেশ ছাড়া পাসপোর্ট রিনিউ করা তাঁদের পক্ষে সম্ভবপর নয়। তারপরই বোম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিনেত্রী। কঙ্গনা রানাওয়াত ও তাঁর দিদি রঙ্গোলি চান্দেলের বিরুদ্ধে গত বছর অক্টোবরে এই দেশদ্রোহের মামলা রুজু করা হয়েছিল। টুইট মারফত সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়ানোয় ও ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করবার অভিযোগে মুম্বইয়ের এক ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের নির্দেশে বান্দ্রা পুলিশ কঙ্গনার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে।