সোমবার বম্বে হাই কোর্টে খারিজ হয়ে গেল অভিনেতা আরমান কোহলির জামিনের আবেদন। জুলাই মাসে মাদককাণ্ডে এনসিবির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন ‘জানি দুশমন’ অভিনেতা। এনডিপিএস আদালতে আরমানের জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ার পর বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিগ বস প্রতিযোগি, কিন্তু এবার হাতাশাই হাতে এল আরমানের। নিম্ন আদলত স্পষ্ট জানিয়েছিল, প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণ দেখে মনে হচ্ছে মাদকচক্রের সঙ্গে যোগ রয়েছে আরমানের তাই তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা যাবে না।
উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদনে আরমান জানিয়েছিলেন এনসিবির কাছে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই, আর নিম্ন আদালতের পর্যবেক্ষণ কেবলমাত্র এনসিবির অভিযোগের উপর ভিত্তি করেই খাড়া করা হয়েছে। মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে আরমানের কোনওরকম আর্থিক লেনদেনের তথ্য-প্রমাণ নেই বলে উল্লেখ রয়েছে ওই আবেদনে।
এদিন হাইকোর্ট জানায়, আরমানের বেশকিছু হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট সন্দেহের আওতায় রয়েছে, সেগুলোর উপযুক্ত তদন্ত প্রয়োজন। পাশাপাশি আরমান জামিনে ছাড়া পেলে তথ্যপ্রমাণের লোপাটের চেষ্টা করবেন এনসিবির এই আশঙ্কাতেও এদিন সিলমোহর দিল আদালত। তবে মামলার অপর দুই অভিযুক্ত কারিম ধানানি এবং ইমরান আব্বাসের জামিনের আর্জি মঞ্জুর হয়েছেন।
এদিন বিচারপতি নীতিন সাম্ব্রের এজলাসে শুনানি হয় আরমান কোহলির মাদক মামলার। উল্লেখ্য, হাই প্রোফাইল আরিয়ান খান মামলারও বিচারপতি ছিলেন নীতিন সাম্ব্রে। এদিন আরমানের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে এনসিবি জানায় আরমানের বাড়ি থেকে উদ্ধার ১.২ গ্রাম কোকেন কোথা থেকে পেয়েছে সে তাই নিয়ে কোনওরকম জবাব দেয়নি আরমান।
‘জানি দুশমন: এক অনোখি কাহানি’ ছবির জন্য বেশি পরিচিত আরমান। তাঁকে সলমনের ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’তেও অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে। তবে আরমান সবচেয়ে জনপ্রিয়তা পায় সলমনের ‘বিগ বস ৭’ দিয়ে। যেখানে তাঁর আর কাজলের বোন তনিশা মুখোপাধ্যায়ের প্রেম নিয়ে তুমুল চর্চা হয়েছিল। যদিও কাজল বা তণুজা-র সম্মতি না থাকায় বিগ বসের ঘর থেকে বেরনোর কিছুদিনের মধ্যেই ভেঙে যায় সে প্রেম-সম্পর্ক।