'এদেশে মহিলা-শিশু-পশুরা সুরক্ষিত নয়।' সম্প্রতি এক পডকাস্টে এমনই মন্তব্য করেছেন জন আব্রাহাম। একদিকে আরজি কর কাণ্ড, অন্যদিকে ঝাড়গ্রামে নৃশংসভাবে অন্তঃসত্ত্বা হাতিকে হত্যার ঘটনার পর যেন অভিনেতা জন আব্রাহামের এই কথাকেই আরও বেশি করে তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলেছে।
ঝাড়গ্রামে অন্তঃসত্ত্বা হাতির পিঠে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় জলন্ত রড। ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই এই নৃশংস অত্যাচারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শ্রীলেখা মিত্র, তথাগত মুখোপাধ্যায়, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় মিমি চক্রবর্তী সহ আরও অনেকে। এবার হাতির উপর নৃশংস অত্যাচারের ঘটনায় সরব হলেন বং গাই কিরণ দত্তের মতো ইউটিউবাররা। এদিন হাতি খুনের বিচার চেয়ে বিধাননগরের অরণ্য ভবনে পৌঁছে যান বং গাই।
কিরণের সঙ্গী নীলাদ্র বলেন, ‘কিছু দাবি নিয়ে তাঁরা লিখিত ডেপুটেশন জমা দিতে গিয়েছিলেন। ১টার সময় ডেপুটেশন জমা দেওযার কথা ছিল, তবে সেক্রেটারি ১টা বাজতে ১০-এ বের হয়ে চলে যান। তবে আমাদের এদিন অত লোক বলও ছিল না, তাই ওঁর গাড়ি আটকানো সম্ভব হয় নি। তাই সকলের কাছে অনুরোধ, আপনারা আরও বেশি করে জড়ো হন। এভাবে অবলা প্রাণী হত্যার সঠিক বিচার যেন পাই।’
নীলাদ্রর অভিযোগ, ‘এত বড়, গুরুত্বপূর্ণ দফতর, যার হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করলে পাওয়া যায় না। গুগলে ওপেন লেখা থাকলেও এসে দেখছি অফিস বন্ধ। ভিতরে যিনি আধিকারিক আছেন, তাঁকে যখন ডেপুটেশন জমা দিচ্ছি, তার ১০ মিনিট আগেই তিনি গাড়ি নিয়ে চলে যাচ্ছেন। চোখের সামনে গেট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এই অমানবিক বিষয়গুলি মেনে নেওয়া যাবে না। তাই আমরা পথে নামার চেষ্টা করছি। মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে আছেন। এই অন্যায়গুলোর বিচার চাইছেন প্রত্যেকে।’
এরপর বং গাই বলেন, ‘আমাদের আগামিকাল আসতে বলা হয়েছে। আজকে কথা বলার মতো কাউকে পাইনি। কাল ১০টা থেকে খোলা থাকবে বলা হয়েছে। কাল আমরা কখন আসব, সেটা আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানাব, চাইব প্রত্যেকেই আপনারা সরব হন। অবলা প্রাণীরা তো কিছু বলতে পারেন না, তাই চাইব আমরাই ওদের হয়ে মুখ খুলি। কাল দেখা হচ্ছে, যাঁরা চাইবেন, আসুন…’
বং গাই সহ ইউটিউবারদের এই উদ্য়োগের প্রশংসা করে ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী। লিখেছেন, ‘বাহ্! অপুর্ব! কী বলা উচিৎ জানি না। ভালো লাগছে না!’
এদিকে গর্ভবতী হাতিকে এভাবে নৃশংসাভাবে হত্যার ঘটনায় মিমি চক্রবর্তী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘লজ্জাজনক। ও মারা গেছে করব একদল হল্লা পার্টি ওর পিঠে বাজি বেঁধে দিয়েছিল। জ্বলন্ত, গরম রড বেঁধে দিয়েছিল। আমরা মানুষ হিসেবে হেরে গেলাম।’ শ্রীলেখাও ক্ষোভ উগরে দিয়ে লেখেন, 'আমরা বোধহয় সত্যিই ধ্বংসের পথে এগোচ্ছি। আর এসব দেখতে পারি না। এত হিংসা, এত আক্রমণ এই অবলাদের প্রতি। তারপর আপনারা মানুষকে মনোহর বলবেন?'
ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তথাগত মুখোপাধ্যায়, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়রাও।