আর জি কাণ্ডে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা রাজ্য তথা দেশ। এই ক্ষোভের আগুন ছড়িয়েছে দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও। মানুষ এখন বিচার চান, প্রকৃত দোষীদের শাস্তি চান। ইতিমধ্যেই এই মামলার তদন্তভার পড়েছে CBI-এর উপর। এরই মাঝে ফেসবুকের পাতায় গলা চড়ালেন 'বং গাই' কিরণ দত্ত।
নিজের ফেসবুকের পাতায় 'বং গাই' কিরণ লিখেছেন, ‘টাকা নিলে আমার মেয়ের সেটা ভালো লাগবেনা, কোনো টাকা চাইনা বিচার চাই’। জানালেন বাবা। এখানে যে 'বাবা'র কথা কিরণ তুলে ধরেছেন, তিনি হলেন 'তিলোত্তমা'র বাবা। আর এরপরই কিরণ লিখেছেন, ‘টাকা দিয়ে সব মেরুদণ্ড কেনা যায়না..’। এই কথার মাধ্যমেও কিরণ দত্ত 'তিলোত্তমা' বাবা দৃঢ় মেরুদণ্ডের কথাই বলতে চেয়েছেন।
পরে কমেন্ট বক্সে গিয়ে 'বং গাই' কিরণ দত্ত ফের লিখেছেন, ‘অপরাধীকে ধরে দিক। সঠিক বিচার হোক। আমি ১০ লাখ দিতে রাজী। টাকা পাওয়ার টা ঠিক কাজে লাগান।অপরাধী খুজতে লাগান।’ আর বাং গাই-এর এই পোস্ট ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কমেন্ট বক্সের মন্তব্যটি কিরণ কাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রসঙ্গত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুন হওয়া 'তিলোত্তমা'র পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলেছেন। বাং গাই-এর এই মন্তব্য যে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে, সেটা কমবেশি সব নেটিজেনই বুঝতে পেরেছেন।
নেটপাড়া বেশিরভাগ লোকজনই তাই কিরণের এই সাহসী মন্তব্যের প্রশংসা করেছেন। একজন লিখেছেন, ‘একটা বাবার কাছে তার মেয়ের জীবন এর দাম পুরো দুনিয়ার টাকা দিয়েও মেটাতে পারবেনা’। কারোর মন্তব্য, ‘আমার মনের কথাটা আপনি বলে দিলেন।’ কেউ আবার দাবি তুলেছেন, ‘দফা এক দাবি এক মূখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ’।
প্রসঙ্গত, আরজি করে চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় সরব হয়েছে গোটা টলিউড। দেব তাঁর 'খাদান' ছবির টিজার লঞ্চ পিছিয়ে দিয়েছেন। শিবপ্রসাদ-নন্দিতাও 'বহুরূপী' ছবির টিজার লঞ্চ পিছিয়ে দেন। ৭০ তম জাতীয় পুরস্কার পাওয়া 'কাবেরী অন্তর্ধান' ছবির পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় ও শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়রা পুরস্কারের জন্য কোনও সেলিব্রেশন করবেন না বলে জানিয়েছেন। 'অপরাজিত' ছবির জন্য সেরা মেকআপ শিল্পী হিসাবে জাতীয় পুরস্কার পাওয়া সোমনাথ কুণ্ডু নিজের পুরস্কার আরজি করের মৃত চিকিৎসককে উৎসর্গ করেছেন।