বাংলার সবচেয়ে বড় ইউটিউবার ‘বং গাই’ কিরণ দত্ত। বরং বলা চলে, বর্তমানে যারা সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে নিজের কেরিয়ার তৈরি করেছেন, তাঁদের অনেকেরই দিশারি তিনি। সিনেমা রিভিউ থেকে শুরু করে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, নানান বিষয় নিয়ে তিনি মজাদার কনটেন্ট তৈরি করে থাকেন। ভিউজও হয়ে যায় লাখখানেক, কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই। সত্যিই কি বাঙালি কিরণ! তাঁর সঙ্গে যে বাংলার বাইরের কোনও যোগ রয়েছে, তা জানতেন না অনেকেই।
সম্প্রতি কিরণ একটি রিল শেয়ার করেছিলেন সোশ্যালে। যেখানে তাঁকে ঘুরতে দেখে যায় কোনও এক গ্রামের রাস্তায়। বলতে থাকেন, ‘এই ত্রিপুরার গ্রামটিতেই জন্মেছিলেন আমার বাবা এবং এই গ্রামেই তিনি বড় হয়েছেন।’ এমনকী, ত্রিপুরার এই গ্রামে এখনও রয়েছে পরিবারের অন্য সদস্যরা। এখনও রয়েছে নিজেদের বাড়ি।
আরও পড়ুন: টেরেন্সের সঙ্গে প্রেম টেকেনি! ‘সুন্দর বাচ্চা পেতে চাই…’, মা হওয়ার আকাঙ্খা নোরার
ভাইপোকে সামনে পেয়ে, নিজের হাতে পুকুর থেকে মাছ ধরলেন কিরণের এক কাকা। জাল ফেলে ধরলেন মাছ, খতিয়ে দেখলেন বং গাই নিজেও। এমনকী, বাড়িয়ে দিলেন সাহায্যের হাতও। তবে দত্ত পরিবারের সঙ্গে ত্রিপুরার যোগ থাকলেও, কিরণ বড় হয়েছেন এই বাংলাতেই। স্কুল-কলেজ সব এই বাংলাতেই। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লেও, কেরিয়ার গড়েছেন ইউটিউবের জগতেই।
আরও পড়ুন: ‘বলি যদি টাকা দিতে পারো…’! নিজের বাবাকে ‘অর্থের গরম দেখিয়ে’ আর কী বললেন নন্দিনী
কিরণ দত্ত যখন ইউটিউব চ্যানেল খুলেছিলেন, সেসময় বাঙালি ইউটিউবারের সংখ্যাও খুব বেশি ছিল না। নিজের চ্যানেলকে প্রতিষ্ঠিত করতে, সেই সময় রাত দিন পরিশ্রম করেছেন। স্ক্রিপ্ট লেখা থেকে এডিটিং, সবটা একা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: নড়াচড়া করছিল না পেটের বাচ্চা! ভয় পায় পরিবার, মেয়ের জন্ম কঠিন ছিল পপির কাছে
একবার দাদাগিরিতে আসা কিরণকে সরাসরি তাঁর আয় নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন সঞ্চালক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। মহারাজ অনুমান করে বলেন, ‘মাস গেলে ভালোই রোজগার হয় তো, তা প্রায় ১০-১২ লক্ষ!’ উত্তরে কিরণ শুধু বলেছিলেন, ইউটিউবের নিয়ম অনুসারে, তিনি টাকার অঙ্কটা বলতে পারবেন না। তবে হ্যাঁ, ভালোই হয়, কাছাকাছি।
২০২২ সালে কিরণ পা রেখেছিলেন সিনেমার দুনিয়াতেও। ২৬ অগস্ট মুক্তি পেয়েছিল পাভেল পরিচালিত 'কলকাতা চলন্তিকা'। সৌরভ দাস, ইশা সাহা, দিতিপ্রিয়া রায়, অপরাজিতা আঢ্যদের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছিলেন কিরণ।তবে সেই সিনেমা বক্স অফিসে ভালো ফল করেনি। বং গাইয়ের অভিনয় নিয়েও হয়েছিল সমালোচনা।