আরজি করের নির্যাতিতার বিচার চেয়ে পথে নেমেছে শহর থেকে গ্রাম। কেবল পশ্চিমবঙ্গ নয় দেশ সহ বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় রাজপথে নেমেছেন মানুষ শুধু মাত্র আরজি করের নির্যাতিতা যেন সঠিক বিচার পান সেই আশায়, সেই দাবিতে। তবে এসবের মাঝে বনগাঁ দেখল এক অন্য রকম প্রতিবাদ।
কী ঘটেছে বনগাঁতে?
বনগাঁওতে ৮ থেকে ৮০ বছরের সকলেই রাজপথে নামেন এদিন। তবে না কোনও স্লোগান তোলেননি তাঁরা। কোনও মিছিল, জমায়েত কিছুই করেননি। বরং খালি বনগাঁর নীলদর্পনের সামনে প্রজেক্টর চালিয়ে তাতে হীরক রাজার দেশে দেখেন সকলে মিলে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ হিসেবে।
এই ঘটনা শেয়ার করে এক ব্যক্তি লেখেন, 'সম্ভবত এ বঙ্গে প্রথম রাস্তায় বসে মানুষ হীরক রাজার দেশে দেখছে। সম্ভবত বাংলায় প্রথম এভাবে রাস্তায় প্রোজেক্টর লাগিয়ে হীরক রাজার দেশে স্ক্রিনিং হল' নিমেষে ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিয়ো এবং ছবিগুলো। এক ব্যক্তি লেখেন, 'এই চিন্তাটাকে কুর্নিশ এরকম প্রতিবাদ এর আগে হয়নি কখনও। সত্যজিৎ রায়ও হয়তো উপর থেকে বিচারের জন্য আবেদন জানাচ্ছেন।' আরেকজন লেখেন, 'শক্তি হারাবে না, এক জোট থেকো।' তৃতীয় জন লেখেন, 'সত্যি নিজের চোখে দেখলাম অনেক দুঃখের মধ্যে দিয়ে গেলাম কিন্তু এখন ভালো কিছুর সম্মুখীন বনগাঁ হচ্ছে এটাতেই আমি গর্বিত।' চতুর্থ জন লেখেন, 'অভিনবত্বে ভরা প্রতিবাদ দেখেও কি হীরক রানি লজ্জা পাচ্ছে না?' পঞ্চম ব্যক্তি লেখেন, 'খুব সুন্দর প্রতিবাদ।'
আরও পড়ুন: 'আর ভালো লাগছে না...' মুখ্যমন্ত্রীর উৎসবে ফেরার আহ্বান, অধরা বিচার! ১ মাস পর ক্ষোভ উগরে কী লিখলেন অঙ্কুশ?
প্রসঙ্গত পুজোর আগের একটি রবিবার। হিসেব মতো বাজার বা শপিং মলগুলোতে ঠাসা ভিড়, কেনাকাটা চোখে পড়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা হল না। দিনটা যেন অন্যান্যবারের পুজোর আগের দিনের থেকে অনেকটাই আলাদা। একটা মেয়ের খুনের বিচার চেয়ে গোটা শহর যেন নেমে পড়েছে রাস্তায়। রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর গড়িয়াহাট চত্বর পুরো স্তব্ধ হয়ে যায়। ৫১ টি স্কুলের প্রাক্তনীদের মিছিল যে এখান থেকেই শুরু হয়েছিল। বাদ যায়নি নৈহাটিও। নির্যাতিতার বাড়ি থেকে আরজি কর পর্যন্ত রবিবার মানববন্ধন করা হয়। করা হয় রিকশা চালকদের মিছিলও। বাদ যাননি শিল্পী, গায়করাও।