Bonny Sengupta-Shah Rukh Khan: ৪০ লাখের গাড়ি কেনা নিয়ে বনি টানলেন শাহরুখ প্রসঙ্গ! রে রে করে তেড়ে এল নেটিজেনরা

ইডি-র ঘরে ডাক পড়ার পর থেকে বনি সেনগুপ্তর বিড়ম্বনা যেন কমার নামই নিচ্ছে না। তাঁর দেওয়া সাক্ষাৎকারও আজকাল তাঁর বিপক্ষেই যাচ্ছে। এক সাক্ষাৎকারে টেনেছিলেন শাহরুখের প্রসঙ্গে। তেড়ে এল কিং খানের ভক্তরা।

গাড়ি কেনা নিয়ে শাহরুখ প্রসঙ্গে টেনে নেটপাড়ার রোষে বনি। 

সিনেমার জন্য গোটা কেরিয়ারে যত না খবরে এসেছেন, গত কয়েকদিনে শিক্ষা দুর্নীতিতে নাম জড়ানোয় তাঁর থেকে বেশি ট্রোল হয়েছেন। কুন্তল ঘোষের থেকে ৪০ লাখ টানা নিয়ে গাড়ি কেনার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর উপর। সম্প্রতি টাকা ফিরিয়েও দিয়েছেন অভিনেতা। তবে তাতে কি আর বিতর্ক কমে। তাঁর বলা ‘লিডিং মোস্ট অ্যাক্টর’-ও তো এখন অধিকাংশের হাসির খোরাক। 

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে তাঁর দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারের একটা অংশ। যেখানে তিনি কথা বলেছিলেন ‘অন্য সময়’-এর সঙ্গে। তাঁর কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, ‘নায়ক-নায়িকাদের বড় গাড়ি চড়তে হবে, দামি পোশাক পরতে হবে, এই ব্যাপরটা কি কোথাও বাড়তি চাপ তৈরি করছে?’ আর এর জবাবেই বনি নিজেকে শাহরুখ খানের সঙ্গে তুলনা টেনে বসেন। অন্তত সেই সাক্ষাৎকার পড়ে এমনটাই ধরণা হয়েছে নেটিজেনদের। ফলে তৈরি হয়েছে নতুন করে ট্রোল।

‘অন্য সময়’কে বনি নিজের জবাবে জানিয়েছিলেন, তিনি যখন কোনও পার্টিতে ঢোকার সময় সাধারণ গাড়ি থেকে নামতেন বিশেষ কেউ পাত্তা দিত না। যখন বিলাসবহুল গাড়ি থেকে নামতেন তখন সবাই স্যার বলে এগিয়ে আসতেন। এমনকী প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত মানুষরাও এমন করতেন। তাই বনির মতে, একজন নায়ক বড় গাড়িতে চড়বেন, ভালো পোশাক পরবেন এমন অভ্যে চলে আসছে। তাঁর কথায়, ‘শাহরুখ খান বড় গাড়ি থেকে নামছে দেখলে আমার শিহরণ হতো। নিজেকে মাটির মানুষ বলে দাবি করছি, আবার বহুমূল্য পোশাক কিনছি এটার কোনও মানে নেই। অভিনয় পেশাটার সঙ্গে যশ-খ্যাতি জড়িয়ে থাকে। সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে যা নেই, তেমন কিছু নায়ক-নায়িকাদের করতে দেখলে তাঁরাই আপ্লুত হন। তাই এই অভ্যেসে আমি কোনও সমস্যা দেখি না।’

বনির দেওয়া এই সাক্ষাৎকার ভাইরাল। এক নেট-নাগরিক সংবাদের এই অংশ শেয়ার করে লিখেছেন, ‘শাহরুখ খান সাইকেল থেকে নামলেও লাখ-লাখ মানুষ জড়ো হবে। তাঁকে মানুষটানার জন্য বিএমডব্লবিউ চড়তে হয় না’। অপরজন লিখলেন, ‘সাধারণ মানুষকে নিজের লাইফস্টাইল দেখিয়ে চমক দেওয়ার থেকে নিজের শিল্প দেখিয়ে চমক দিন। সেটার জন্যই মানুষ আপনাকে মনে রাখবে। নয়তো আপনার আর একজন তোলাবাজের মধ্যে ফারাক কোথায় থাকবে। সেও তো ভরি ভরি সোনার গয়না গলায় দিয়ে ঘোরে।’

প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি কুন্তলের পর অয়ন শীলের সঙ্গেও টলিউডের যোগ পাওয়া গিয়েছে। তাঁর টাকাতেই ‘কবাডি কবাডি’ সিনেমা বানিয়েছেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। মুখ্য চরিত্রে ঋত্বিক চক্রবর্তী ও সোহিনী সরকারদের নিয়ে। যাতে আবার ছিলেন অয়ন বান্ধবী শ্বেতাও। ইডির হাতে উঠে আসা একের পর এক তথ্য প্রমাণ করছে কালো টাকা সাদা করার সবচেয়ে প্রশস্ত ও সহজলভ্য পথ হয়ে উঠেছিল টলিউড। সাধারণ মানুষের মনেও প্রশ্ন, অভিনেতা-পরিচালকরা সত্যিই কি দায় এরিয়ে যেতে পারেন? নাকি তাঁদের পক্ষে জানা সম্ভব নয় প্রযোজকের টাকার উৎস!