শুক্রবার ইডেন গার্ডেনে মরসুমের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলল কেকেআর। তবে এদিন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ২৩ রানে হার স্বীকার করতে হয় নাইট-বাহিনীকে। অধিনায়ক নীতীশ রানা আর ‘লর্ড’ রিঙ্কু সিং-এর ঝোড়ো ব্য়াটিং-এ ভর করে শেষ ওভার অবধি লড়ে গিয়েছে কেকেআর কিন্তু এদিন আর মিরাকেল ঘটল না। নববর্ষের আগে কলকাতাবাসীকে জয় উপহার দিতে না পারায় ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন রানা। মন খারাপ ভক্তদের। কিন্তু এইসবরে মাঝেই নেটিজেনদের রোষের মুখে পড়তে হল বনি-কৌশানিকে।
শুক্রবার সন্ধ্যার কেকেআর-এর ম্যাচ উপভোগ করতে ক্রিকেটের নন্দন কাননে হাজির হয়েছিলেন টলি পাড়ার একঝাঁক তারকা। সেই তালিকায় ছিলেন বনি সেনগুপ্ত এবং কৌশানি মুখোপাধ্যায়ও। তৃণা-নীল-সৌরভ দাসদের সঙ্গে ভিআইপি বক্স বসে ম্যাচের মজা নিলেন বনি-কৌশানি জুটি। বনির পরনে ঘন নীল রঙা কার্গো প্যান্ট আর কেকেআরের জার্সি। কৌশানি পরেছেন হালকা বেগুনি ক্রপ শার্ট আর প্যান্ট। ম্যাচ চলাকালীন নিজেদের একাধিক মুহূর্ত ইনস্টাগ্রামে তুলে ধরেন বনি-কৌশানি। নীতিশ রানা-রিঙ্কু সিং-দের ব্যাটিং তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করছিলেন তারকা জুটি। কিন্তু কেকেআর ম্যাচ হারতেই নেটপাড়ার রোষের মুখে পড়লেন তাঁরা।
অনেকেই ট্রোল করে লেখেন, ‘চোর’, কেউ আবার ২৩ রানে কেকেআরের ম্যাচ হারে রাগ বনির উপর দেখিয়ে লেখেন, ‘অপয়া এসেছে বলেই ম্যাচ হারলাম’। সেইসব কমেন্টের স্ক্রিনশট ভাইরাল, যদিও এহেন মন্তব্যের কোনও ভিত্তি নেই। নিয়োগ-দুর্নীতি কাণ্ডে নাম জড়ানোর পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার রোষের মুখে বনি। ইডি-র ডাকে বেশ কয়েকবার নিজাম প্যালাসে ছুটতে হয়েছে তাঁকে। জেলবন্দি কুন্তলের থেকে নেওয়া ৪০ লক্ষ টাকা ইতিমধ্যেই ফিরিয়ে দিয়েছেন বনি। তবুও ট্রোলাররা পিছু ছাড়ছে না বনির।
যাই হোক, চৈত্র সংক্রান্তিতে ইডেন গার্ডেন্সে কেকেআরের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে চার উইকেটে ২২৮ রান তুলেছিল সানরাইজার্স। ৫৫ বলে ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন হ্যারি ব্রুক। উমেশ যাদব, লকি ফার্গুসন থেকে বরুণ চক্রবর্তী, সুয়াশ শর্মা- সকলেই বেধড়ক ঠ্যাঙানি খেলেন হ্যারি ব্রুকের কাছে। ১৩.২৫ কোটির ব্রিটিশ তারকা হ্যারি ব্রুকের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের সামনেই এদিন হার মানতে হল কেকেআর-কে।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় কেকেআর। মাত্র ২০ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল শাহরুখ-জুহির দল। আউট হয়ে যান রহমানউল্লাহ গুরবাজ, বেঙ্কটেশ আইয়ার এবং সুনীল নারিন। তারপর নীতীশের দুরন্ত ইনিংসে ম্যাচে আশা জিইয়ে রাখে কেকেআর। তাঁকে যোগ্যসংগত করেন রিঙ্কু সিং। নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ২০৫ রানের বেশি তুলতে পারেনি কেকেআর। ৩১ বলে ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন রিঙ্কু।