নায়রার সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসে বিনা অনুমতি-কে তিথির মাথায় সিঁদুর পরিয়েছে রুদ্রিক। এখন ব্যানার্জি পরিবারের নকল নয়, আসল বউমা তিথি। কিন্তু রুদ্রিককে দেখলেই যেন তেলেবেগুনে জ্বলে উঠছে সে। ঠাম্মিকে স্পষ্ট জানিয়েছে, ‘মনে হচ্ছে, আপনাদের বাড়ির ছেলের মাথা মেরে গুঁড়িয়ে দিই’। ভাত-কাপড়ের অনুষ্ঠান ছেড়ে মাঝপথেই উঠে দাঁড়িয়েছে তিথি। রুদ্রিক নিজের টাকায় কাপড় কিনলে তবেই ভাত কাপড়ের দায়িত্ব নেওয়ার যোগ্য হবে ঘোষণা তিথির। তবে কষ্ট করে বাজার থেকে কিনে আনা মাছ বউ-কে খাইয়েই ছাড়বে রুদ্রিকও, জেদ ধরে তাঁর। অবশেষে অনেক জোরাজুরির পর সফল হয় সে।
রুদ্রিক-তিথির ফুলশয্যায় কোনও কাণ্ড ঘটবে না, তেমনটাও নয়। ফুলশয্যায় তিথিকে ‘টাচ’ করতে বড় শর্ত আগেই দিয়ে রেখেছে সে, ১০৮ বার বাংলায় ফুলশয্যা লিখতে হবে। জ আর য- পার্থক্য রুদ্রিককে ফুলশয্যার রাতে শেখাতে বসে তিথি। নাছোড়বান্দা রুদ্রিকও, শর্তে হার মানবে না সে। ‘কোনও ওয়াইফ জীবনে কোনওদিন হাজব্যান্ডকে দিয়ে ফুলশয্যা বানান লেখায় এমন জম্মে দেখিনি’, লিখতে লিখতে বলে চলে রুদ্রিক। সেই নিয়েও হুলুস্থূল কাণ্ড! কখনও রুদ্রিককে ঘুসি মারার কথা বলে তিথি, কখনও মনে করিয়ে দেয় সে একটা অপরাধী, অনুমতি না নিয়েই তাঁর মাথায় সিঁদুর পরিয়েছে।
তিথি জানায়, রোম্যান্সের কথা যেন রুদ্রিক মাথা থেকে বার করে দেয়, 'ও সব হবে না, আপনাকে দেখে রোম্যান্স আসবে না'। পালটা জবাব মেলে, ‘আমারও রোম্যান্স করবার ইচ্ছা নেই, জাস্ট বিয়ে করেছি বলে ওই অ্যাপ্রোচটা রাখতে হবে, রোম্যান্সের ট্রাই করছিলাম’।
বুধবারের এপিসোডে তো দর্শক আগেই এই কাণ্ড দেখেছে, বৃহস্পতিবারের পর্বে আরও ধামাকা অপেক্ষা করছে। ১০৮ বার ‘ফুলশয্যা’ বনান লিখে ফেলার পর দারুণ এক্সাইটেড রুদ্রিক। কিন্তু তিথি জানায়, ‘লম্ফট কোথাকার, একদম চাট করবেন না আমাকে’। বলে দেয়,এক বিছানায় ঘুমোবে না সে। অথচ তিথির এই ‘রেলা’র জবাব দিতেই হবে রুদ্রিককে, কারণ না হলে পরিবারের সামনে শর্তে হেরে যাবে সে। অগত্যা তিথিকে জড়়িয়ে ধরে রুদ্রিক, ব্যাস আর কী! নতুন বরের গালে কষিয়ে চড় মারে তিথি। এই খুনসুটি আর ঝগড়া কোথায় গিয়ে থামবে? কেমন হবে এই জুটির দাম্পত্য সফর? সেইদিকেই তাকিয়ে ফ্যানেরা।