৮ই অক্টোবর মহাপঞ্চমীতে বক্স অফিসে মুক্তি পেয়েছিল ৩টি বাংলা ছবি। কাঁটার টক্কর আশা করেছিল সকলেই, তবে ত্রিমুখী লড়াইয়ে শুরু থেকেই পিছিয়ে পড়ে মিঠুনের ‘শাস্ত্রী’। টলিপাড়ার ফার্স্ট বয় সৃজিত ও সুপারস্টার দেবের জুটিকে হারিয়ে বক্স অফিসের ‘বাদশা’ হিসাবে নিজেকে প্রমাণ করেছে বহুরূপী। আয়ের নিরিখে এক নম্বরে রয়েছে এই ছবি। আরও পড়ুন-বক্স অফিসে দেবের টেক্কাকে হারিয়ে দিল বহুরূপী! সপ্তমী পর্যন্ত কার আয় কত? জানুন
৮ দিনেই নাকি বহুরূপীর ব্যবসা ১০ কোটি ছুঁয়েছে, এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন খোদ ছবির পরিচালক-প্রযোজক তথা অভিনেতা শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। লক্ষ্মীপুজোর সন্ধ্যায় ধুমধাম করে সাক্সেস পার্টিও সেলিব্রেট করে ফেলেছে টিম উইন্ডোজ। যদিও তাঁদের লক্ষ্মীলাভের অঙ্ক নিয়ে খানিক জলঘোলা রয়েছে। sacnilk.com-এর মতো বক্স অফিস পোর্টাল জানাচ্ছে ১০ দিনে এই ছবির আয় ৬.২৫ কোটি। যা প্রযোজকের অঙ্কের চেয়ে অনেকটাই কম। তবে পুজো মিটলেও বহুরূপী নিয়ে দর্শক মনে উত্তেজনা অটুট। গত ২৪ ঘণ্টায় ছবি ১১ হাজারেও বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে বুক মাই শো-এর মাধ্যমে।
ওদিকে ১০ দিনে টেক্কার আয় কত? শুক্রবার সেই ফিগার প্রকাশ্যে আনলেন প্রযোজক দেব। এখনও পর্যন্ত এই ছবি সাড়ে তিন কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। দেব এদিন জানান, ‘টেক্কার অভূতপূর্ব জার্নি জারি রয়েছে…. ইতিমধ্যেই সম্প্রসারিত প্রথম সপ্তাহে ছবির আয় ৩.৫ কোটি টাকা’। প্রযোজকের দেওয়া ফিগারের সঙ্গে মিলিয়ে sacnilk.com-এর তথ্য় বলছে ১০ দিনে টেক্কার আয় ৩.৩২ কোটি টাকা।
ওদিকে শাস্ত্রীর আয়ের কোনও পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে আনেননি প্রযোজক সোহম কিংবা সুরিন্দর ফিল্মস। তবে sacnilk.com-এর পরিসংখ্যান অনুসারে এই ছবি ১০ দিনেও ১ কোটির গণ্ডি ছুঁতে পারেনি। আয় দাঁড়িয়েছে ৮২ লক্ষে। দ্বিতীয় সপ্তাহে এই ছবির শো সংখ্যাও এক ঝটকায় একশোর নীচে নেমে এসেছে।
আরজি কর আবহে স্বস্তিকা দাবি তুলেছিলেন ‘উৎসবে না ফেরার’! সৃজিতও এই আন্দোলনে সরকার বিরোধী অবস্থান নিয়েছিলেন। ফলে স্পষ্টটই বেশ চিন্তায় ছিলেন নির্মাতারা। দেব পর্যন্ত স্বীকার করেছিলেন, ছবির ব্যবসা নিয়ে বর্তমান পরিস্থতে একটা অনিশ্চয়তা কাজ করছেই। তবে কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল, বাংলা সিনেমা বা বাংলার তারাকারা, কারও থেকেই মুখ ফেরায়নি বাঙালি। বরং বাংলা ছবির সামনে টিকতে পারেনি আলিয়ার জিগরা কিংবা রাজকুমার-তৃপ্তির ‘ভিকি বিদ্যা কা ওহওয়ালা ভিডিয়ো’।