পাত্র মালায়ালি, কনে বাঙালি। তাই বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণী রীতি মেনে গাঁটছড়া বাঁধার পর সন্ধ্যায় বাঙালি মতে বিয়ে সারলেন মৌনি রায় ও সূরজ নামবিয়ার। গোয়ার হিলটন রিসর্টে কাছের বন্ধু ও আত্মীয়দের নিয়ে বসেছিল মৌনি-সূরজের বিগ ফ্যাট ওয়েডিং-এর আসর। বাঙালি মতে বিয়ে করলেও মৌনির বিয়ের সাজে বাঙালিয়ানার লেশমাত্র ছিল না বললেই চলে! কেবলমাত্র শাঁখা-পলা দেখা গেল নায়িকার হাতে।
লাল লেগেঙ্গায় দেখা মিলল মৌনি রায়ের। মাথায় বড় মাঙ্গটিকা, গা ভর্তি কুন্দনের জুয়েলারি, মাথায় লাল-সোনালি ওড়না। সেই ওড়নাতেও বাংলা নয়, সংস্কৃতে লেখা রয়েছে ‘আয়ুষ্মতী ভব:’। সাজে বাঙালিয়ানা না থাকলেও বিয়ের আচার-অনুষ্ঠান কিন্তু বাঙালি মতেই হল কোচবিহারের রায় বাড়ির মেয়ের।
পান পাতায় মুখ ঢেকে পিঁড়িতে চড়ে বরের সামনে এলেন মৌনি। কিন্তু শুভদৃষ্টির সময় পড়ে যাওয়ার ভয়ে হাল বেহাল কনের! যেমনটা সবার ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে আর কী, পিঁড়িতে চড়ে রীতিমতো চিত্কার করতে দেখা গেল নায়িকাকে। সাহায্যের জন্য কাউকে এগিয়ে আসবার আর্জি জানালেন তিনি, পাশাপাশি বললেন- ‘সাত পাকের দরকার নেই, এক পাক হলেই হবে’। যদিও মৌনির দাদা-ভাই, বন্ধুরা তাঁকে আশ্বস্ত করেন কিচ্ছু হবে না। সব ঠিক আছে।
এদিন বউয়ের সঙ্গে মিলিয়েই সেজে ছিলেন সূরজ। তাঁর দেখা মিলল বেইজ-গোল্ডেন সাবেকি আউটফিটে, সঙ্গে পাগড়ি আর ম্যাচিং স্টোল। মৌনি-সূরজের বিয়ের একাধিক ছবি, ভিডিয়ো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
বৃহস্পতিবার মালায়ালি বিয়ে শেষে ইনস্টাগ্রামে মৌনি লেখেন, 'অবশেষে তাঁকে খুঁজে পেলাম। হাতে হাত, পরিবারের আর্শীবাদ, বন্ধুদের ভালোবাসা… আমরা বিবাহিত। তোমাদের সবার ভালোবাসা আর আর্শীবাদ চাই। ইতি- সূরজ আর মৌনি'। একই ছবি নিজের ইনস্টাগ্রামের দেওয়ালে শেয়ার করেছেন সূরজ। লিখেছেন, ‘২৭শে জানুয়ারি অবশেষে আমার প্রিয় বান্ধবী আর আজীবনের ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করলাম, এখন মনে হচ্ছে আমি এই পৃথিবীর সবচেয়ে সৌভাগ্যবান পুরুষ’।
সূরজের সঙ্গে সম্পর্কের কথা কোনওদিন প্রকাশ্যে আনেননি মৌনি। বিয়ের দিন সকালেই প্রথম বরের ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে নিজেদের সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক শিলমোহর দেন নায়িকা। দুবাইয়ের ইনভেসমেন্ট ব্যাঙ্কার সূরজ নামবিয়ার। সঙ্গে রিয়েল এস্টেটের ব্যবসাও রয়েছে। বেঙ্গালুরুতে আদি বাড়ি সূরজের। শোনা যায়, ২০২০ সালের শুরুতে করোনার প্রথমবার লকডাউনে নিজের দিদি-জামাইবাবু এবং তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দুবাইতে থাকাকালীন সুরজের প্রেমে পড়েন বলি সুন্দরী। আর দু-বছরের মাথাতেই বিয়ের পর্ব মিটিয়ে ফেললেন।