মার্কিন গায়িকা ও গানের লেখিকা ব্রিটনি স্পিয়ার্স সামাজিক মাধ্যমে একটি দীর্ঘ্য বার্তায় জানিয়ে দিলেন, যতদিন তাঁর বাবা জেমস পারনেল স্পিয়ার্স তাঁর ‘পোশাক থেকে শুরু করে ভাবনা-চিন্তা-কথা বলা’ নিয়ন্ত্রণ করা বন্ধ না করছেন, তিনি আর গান গাইবেন না। প্রায় ১৩ বছর ধরে ব্রিটনি স্পিয়ার্সের জীবনযাত্রা ও আর্থিক সমস্ত কিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন তাঁর বাবা। তাঁর হয়ে মার্কিনি কনজারভেটরশিপ আইনের সঙ্গে লড়ার জন্য নতুন আইনজীবী নিয়োগ করেছেন ব্রিটনি। আর তার পরদিনই সামাজিক মাধ্যমে এই কথা জানিয়ে দিলেন পপ তারকা।
গ্র্যামি-জয়ী ব্রিটনি তাঁর বার্তায় লিখেছেন, কনজারভেটরশিপ বা তাঁকে নিয়ন্ত্রণের এই আইন তাঁর সমস্ত স্বপ্নকে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। তিনি এতটাই ভেঙে পড়েছেন যে, নতুন করে আর কোনও গান লেখার ক্ষমতা তাঁর নেই। নিজের ইনস্টা-পোস্টে ব্রিটনি লিখেছেন, ‘একগাদা মেকআপ করে নিজের গানেরই রিমিক্স বারবার গাওয়া আমার পক্ষে আর সম্ভব নয়। আমার পছন্দ নয় আমার বোন আমার হয়ে কোনও অ্যাওয়ার্ড শো-তে যাবে আর আমার গানেরই রিমিক্স গাইবে। এই কনজারভেটরশিপ আমাকে মেরে ফেলেছে প্রায়… এখন শুধু মনে আশা আছে! এই আশাই যা মরতে চায় না!’
কিছুদিন আগেই মার্কিন আদালতের কাছে আর্জি জানিয়ে এই ‘বন্দিদশা’ থেকে মুক্তি চেয়েছিলেন ব্রিটনি। জানিয়েছিলেন, যত জলদি সম্ভব এই ‘অপমানজনক’ কেস শেষ করতে চান তিনি। যা তাঁর মন ভেঙে দেয় ও দাসত্ব অনুভব করায়। খোলা আদালতে তাঁর বাবা ও যাঁরা তাঁকে ‘নিয়ন্ত্রন’ করছেন, তাঁদের নিন্দা করেন ব্রিটনি। জানান, তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাঁকে জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ খেতে বাধ্য করেন তাঁরা। এমনকী, প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে করতে ও আরেক সন্তান নিতেও তাঁকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। লস এঞ্জেলেসের আদালতের বিচারককে ব্রিটনি বলেছেন, তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন এবং দিনের পর দিন কেঁদেছেন। ‘আমি আমার জীবন ফিরে পেতে চাই’, জানিয়েছিলেন তিনি। যদিও আদালতের পক্ষ থেকে ব্রিটনির বাবার সপক্ষেই রায় দেওয়া হয়। এবার নতুন আইনজীবী নিয়োগ করে ফের আইনি লড়াইয়ে নেমেছেন তিনি।