ছোট বেলায় প্রচন্ড দুষ্টু ছিলেন অভিনেত্রী করিনা কাপুর খান। তাই ১৪-১৫ বছরে তাঁকে যেতে হয়েছিল বোর্ডিং স্কুলে। এক সাক্ষাৎকারে তেমনই রহস্য ফাঁস করলেন অভিনেত্রী।
করিনা জানান, ১৪-১৫ বছরে কিছুটা ‘টম বয়’ ছিলেন তিনি। এতটাই দুষ্টু ছিলেন যে শেষপর্যন্ত মা ববিতা কাপুর তাঁকে বোর্ডিং স্কুলে ভরতি করতে বাধ্য হয়, তাঁর নেপথ্যেও ছিল অন্য এক গল্প। সাংবাদিক বরখা দত্তের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে স্মৃতিচারণা করেন অভিনেত্রী।
সেই সময় অভিনেত্রী বলেন, সেই সময় একজনের প্রতি ক্রাশ হয়েছিল অভিনেত্রীর। তা জানতে পেরে যান তাঁর মা। এরপরই অভিনেত্রীকে সেই ছেলেটির সঙ্গে দেখা করা, কথা বলা বন্ধ করে দেন তিনি। এমনকী ববিতা কাপুর নিজের ঘরে লক করে রাখতেন ফোন। একদিন এমনও হয়েছিল, অভিনেত্রীকে ঘরে লক করে রেখে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু করিনা ছুরির সাহায্যে লক খুলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে ছেলেটির সঙ্গে দেখা করার জন্য। এমনকী দেখাও করতে যান। যদিও এরপর অভিনেত্রীর মা সিদ্ধান্ত নেন তাঁকে বোর্ডিং স্কুলে রেখে আসার। দেরাদুনের এক বোর্ডিং স্কুলে রেখেও এসেছিলেন তাঁকে। তবে সিঙ্গল মাদার হওয়ার দরুণ সেই সিদ্ধান্তে ববিতা কাপুর নিজেও কষ্ট পেয়েছিলেন বলে জানান করিনা।
যদিও এখন অভিনেতা সইফ আলি খানের সঙ্গে করিনা কাপুররে সুখী গৃহকোণ। তাঁর একমাত্র সন্তানের নাম তৈমুর আলি খান। খুব শীঘ্রই দ্বিতীয়বার মা হবেন তিনি।