৮ অগস্ট ২০২৪, বাংলার একটা অধ্যায়ের যেন শেষ হল। না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ৮০ বছর বয়সে তিনি তাঁর সাধের ৫৯ পাম অ্যাভিনিউর বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি নানা সমস্যায় ভুগছিলেন, এদিন বাড়াবাড়ি হওয়ার পর আর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় দেননি তিনি। ৮টা ২০ নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ৯ অগস্ট পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বিদায় জানানো হবে তাঁকে। তার আগেই সকলের কথায় উঠে আসছে বুদ্ধদেবের নানা ভালো লাগার, পছন্দের জিনিসের কথা। তেমন ভাবেই জানা গেল কোন পদটি তিনি সব থেকে বেশি ভালোবাসতেন।
আরও পড়ুন: মৃত্যুর পরেও ধনঞ্জয়ের ফাঁসির জন্য বুদ্ধদেবকেই দুষলেন কবীর সুমন! লিখলেন, 'খুব মনে পড়ছে আপনাকে...'
কী খেতে ভালোবাসতেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য?
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ভীষণ কুমড়ো ফুলের বড়া খেতে ভালোবাসতেন। চালের গুঁড়ো বা বেসন দিয়ে অল্প কালো জিরে মিশিয়ে মুচমুচে করে কুমড়ো ফুলের বড়া বানিয়ে দিলে প্রথম পাতে ভাতের সঙ্গে ডাল দিয়ে এই ভাজা খেতেই ভালোবাসতেন তিনি।
এমনকি কুমড়ো ফুলের বড়া খেতে তিনি এতটাই ভালোবাসতেন যে শোনা যায় জেলা সফরে গেলে নাকি তিনি সেখানে গিয়ে আগে খোঁজ করতেন যে এখানে কুমড়ো ফুল পাওয়া যায় কিনা। পাওয়া গেলে সেটা তাঁর পাতে থাকতই।
আসলে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বরাবরই বাঙালি খাবার খেয়েই পছন্দ করতেন। ভাত, মাংস ছিল তাঁর সবথেকে প্রিয় খাবার। বক ফুলের বড়া, কুমড়ো ফুলের বড়া, মাছের মাথা দিয়ে ডাল, মাছের ঝোল এসবই খেতেন তিনি। বিশেষ করে ট্যাংরা মাছ, পাবদা মাছ বা কই মাছের ঝোল খেতেই তিনি পছন্দ করতেন। কোনও বাহারি বা বিদেশি খাবারের দিকে তাঁর তেমন ঝোঁক ছিল না কখনই।
বুদ্ধদেবের শেষ যাত্রা
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মরদেহ এদিন পিস ওয়ার্ল্ড থেকে বের করে বিধানসভা, আলিমুদ্দিন সহ একাধিক জায়গায় ঘুরিয়ে শেষ পর্যন্ত নীল রতন সরকার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই বিকেল ৪টে নাগাদ তাঁর দেহদান করা হবে।