৯ অগস্ট সকালে আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে এক মহিলা চিকিৎসকের দেহ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে একাধিক আঘাতের কথা লেখা আছে। বাদ দেওয়া হয়নি ধর্ষণের সম্ভাবনাও। এই ঘটনা প্রসঙ্গে একাধিক টলিউড তারকারাই সরব হয়েছেন। এবার মুখ খুললেন সিধু, কমলেশ্বররাও। তাঁরা দুজনেই চিকিৎসক। এই ঘটনায় তাঁরা কতটা মর্মাহত সেটাই এদিন জানালেন।
আরও পড়ুন: বিতর্ক ঘনাতেই লোকসভার আগে ছেড়েছিলেন পদ, ফের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হলেন দেব
আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসক মৃত্যু নিয়ে কী বললেন সিধু?
সিধু ওরফে ক্যাকটাসের সিদ্ধার্থ রায় নিজেও একজন চিকিৎসক। তিনি কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র ছিলেন। তিনি এদিন আরজি কর হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুতে ক্ষোভ উগরে দেন। একই সঙ্গে প্রশ্ন তোলেন নিরাপত্তা নিয়ে।
সিধু এদিন টিভি৯ বাংলাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানান, 'আরজি করের ফেস্টে বহুবার গিয়েছি। এখনও আমরা সিনিয়র ব্যান্ড হিসেবে ওখানকে পারফর্ম করি। ওখানকার পরিবেশ নিয়ে কখনও প্রশ্ন ওঠেনি। আর সেখানেই কিনা এমন একটা ঘটনা ঘটল। চিকিৎসকের দেহ মিলল তাঁরই হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে! এটা তো ভাবনার বাইরে। নিরাপত্তা কোথায়?'
সিধু এদিন বাংলাদেশের প্রসঙ্গও টেনে বলেন, 'ভেবেছিলাম পশ্চিমবঙ্গে হয়তো সুস্থ মানসিকতার মানুষ বাস করে। কিন্তু এই ঘটনা সেটা ভুল প্রমাণ করল। আমার রাতের ঘুম উড়ে হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে। ধিক্কার জানাই।'
কী জানালেন কমলেশ্বর?
কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় নিজেও একজন চিকিৎসক। একই সঙ্গে তিনি এক কন্যার বাবাও বটে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনা তাঁকে বিচলিত করেছে। কমলেশ্বর এদিন এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানান, 'হাসপাতালে যদি চিকিৎসকদের নিরাপত্তা না থাকে তাহলে কিছু বলার নেই। তাহলে বলতে হয় সাধারণ মানুষেরও নিরাপত্তা নেই। নক্কাজনক ঘটনা একেবারে। পশ্চিমবঙ্গের নারীদের অবমাননা করা হয়েছে।'
আরও পড়ুন: বক্স অফিসে জিরোর ভরাডুবি প্রভাব ফেলেছিল শাহরুখ আনন্দের সম্পর্কেও? কী জানালেন প্রযোজক?
তিনি এদিন সোজাসুজি প্রশ্ন তোলেন যে পুলিশ পোস্টিং থাকা সত্ত্বেও এমন ঘটনা ঘটল কীভাবে? তিনি আরও জানান, 'এই অপরাধের দ্রুত বিচার চাই। আমার নিজের মেয়ে আছে, বাবা হিসেবে আমি ওঁর নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তা বোধ করছি। এটা সহ্য করা যায় না।'