ঠিক যেন কোনও বলিউডের সিনেমার চিত্রনাট্য। দারুণ জনপ্রিয় মিউজিক ব্যান্ড। খ্যাতির চূড়ায় থাকাকালীন ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে আলাদা হয়ে গেলেন ব্যান্ডের প্রধান দুই মুখ। না ভাঙলেও টুকরো হয়ে গেল সেই ব্যান্ড। ১৩ বছর পর ফের একবার জোড়া লাগল সেই সম্পর্ক। ফের পাশাপাশি এল দুই বন্ধু। বাঁধা হলো গান। পুনর্গঠিত হলো ব্যান্ড। একেবারে ঘর বাস্তব ঘটনা। ব্যান্ডের নাম? ক্যাকটাস। প্রধান দুই মুখের নাম? সিধু এবং পটা।
১৩ বছর পর আবার একসঙ্গে গানের সুরে গলা মেলালেন একই ব্যান্ডের দুই তারকা। দূরত্ব ঘুচিয়ে 'ক্যাকটাস'-এ ফিরে এলেন পটা। বন্ধু সিধুর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাঁধলেন নতুন গান। নাম, 'ছিঃ ছিঃ ছিঃ'। ২০২১ সালে জোড়া লাগল ক্যাকটাস। গান যে পুরোপুরি রাজনৈতিক তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। দেশ, বিশ্বের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নিয়মকে কটাক্ষ করা হয়েছে এই গানে। তীর্যক ভঙ্গিতে পেশ করা হয়েছে সেই বক্তব্য। যেমন গানের মোষয়ে 'গণতন্ত্র' সবটিকে ভাঙা হয়েছে দু'ভাগে। সিধু জানিয়েছেন এর পিছনে থাকা কারণ। 'গণ' অর্থাৎ সাধারণ জনগণ, অন্যদিকে 'তন্ত্র'-এর দখল থাকে পুরোপুরি নেতাদের হাতে। গানটি গত শনিবার ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছে। ২৪ অগস্ট ‘ক্যাকটাস’-এর জন্মদিন। সেই উপলক্ষেই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন সিধু-পটারা। ইতিমধ্যেই গানের ভিউজ পেরিয়ে গেছে দেড় লক্ষ।
এই প্রসঙ্গে TV9 বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সিধু জানিয়েছেন ১৩ বছর পর যে ক্যাকটাস পুনর্গঠিত হল সেটা কম বড় কথা নয়। পাশাপাশি মানুষ পটা ও সিধুর পারফরমেন্স ফের একসঙ্গে দেখতে পেয়ে খুশি। গানটিও তাঁরা দারুণভাবে গ্রহণ করেছেন। পাশাপাশি 'ছিঃ ছিঃ ছিঃ '-এর ব্যাপারে আরও বিশদে জানিয়ে সিধু বলেছেন,' রাজনৈতিক নেতারা যা সিদ্ধান্ত নেন, সবই তাঁদের সুবিধা অনুযায়ী সবটাই তাঁরা চাপিয়ে দেন। ফলভোগ করে জনগণ। সমস্যা বাড়ে তাঁদের। একদিকে ট্রাম্প বলছেন মাস্ক পোরো না। অন্যদিকে, বাইডেন বলছেন মাস্ক পরো। আবার তালিবানরা বলছে আফগানিস্তান তাঁদের। আমাদের এখনও তো ভোটের সময় দিব্যি জমায়েত হলো। যেই ভোট শেষ তৎক্ষণাৎ লকডাউন ঘোষণা করা হলো। সাধারণ মানুষকে ঘরে ঢুকে বসে থেকে লকডাউন পালন করতে বলা হচ্ছে। সবমিলিয়ে তো ক্ষোভ জমে সাধারণ মানুষের মনে। এই গান তার বহিঃপ্রকাশ'।