টেলিভিশন ইতিহাসে এক নতুন যুগের সূচনা হয়েছিল নব্বইয়ের দশকের হাত ধরে। বিশেষ করে ক্লাসিক বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে এই দশক ছিল যাকে বলে স্বর্ণযুগ। এই দশকে যাঁদের বড় হয়ে ওঠা তাঁদের নস্ট্যালজিয়া চলকে ওঠার অন্যতম কারণের মধ্যে আজও রয়েছে ‘ক্যাডবেরি গার্ল’ এর সেই বিজ্ঞাপন। আসমুদ্রহিমাচল ভারতের মনমুগ্ধতায় কেন্দ্রে পৌঁছেছিল ১৯৯৪ সালের 'ক্যাডবেরি'-র সেই বিজ্ঞাপন। এর সুবাদেই লক্ষ লক্ষ দর্শক হৃদয় জিতে নিয়েছিলেন সিমোনা রাশি।
এবারের ২৭ বছর পর সেই পুরনো নস্ট্যালজিয়া উস্কে টিভির পর্দায় ফিরল 'ক্যাডবেরি গার্ল'। তবে চিয়ার গার্ল হিসেবে নয় বরং বাইশ গজের পিচে গার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যাটসম্যান হিসেবে! এভাবেই লিঙ্গবৈষম্যকে হেলায় উড়িয়ে জেনারেশন জেড-এর কাছে 'ক্যাডবেরি' ফেরাল তাঁদের 'গার্ল'-কে। ইতিমধ্যেই তাঁকে দেখে হইহই পড়ে গেছে নেটপাড়ায়। তর্কাতীতভাবে এইমুহূর্তে নেটপাড়ার ক্রাশ নয়া হিসেবে উঠে এসেছে তাঁর নাম। তবে এবারে সেই ভূমিকায় নেই সিমোনা রাশি। তাঁর বদলে রয়েছেন কাব্য রামাচন্দ্রন। চেন্নাইয়ের শিক্ষাবিদ, সাঁতারু এবং নেশায় অভিনেত্রী তিনি। মজার কথা যে সালে ওই ক্যাডবেরির ক্লাসিক বিজ্ঞাপনটি রিলিজ করেছিল ঠিক সেই বছরই অর্থাৎ ১৯৯৪ সালে জন্মেছিলেন কাব্য।
শুধু তাই নয়, এই বিজ্ঞাপনটি করার আগে পর্যন্ত তিনি জানতেনই না মূল বিজ্ঞাপনটির কথা! বিজ্ঞাপনের কাজ শুরু হওয়ার ঠিক আগে কাস্টিং ডিরেক্টর রেফারেন্সের জন্য বিজ্ঞাপনটি তাঁকে পাঠান। প্রথমবার দেখেই এই আইকনিক অ্যাডে মজেন অভিনেত্রী।
পুরোনো 'ক্যাডবেরি' বিজ্ঞাপনে দেখা গেছিল ব্যাটসম্যান ছক্কা মেরে সেঞ্চুরি স্কোর করার পর নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেঙে মাঠে হৈ হুল্লোড় করে নাচতে নাচতে ঢুকে পড়ে 'ক্যাডবেরি গার্ল' সিমোনা রাশি।১৯৬০-এর এক সত্যি ঘটনা থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে এই বিজ্ঞাপনটি তৈরি করেছিল অ্যাড এজেন্সি Ogilvy. সত্যি সত্যি নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেঙে মাঠে ঢুকে তৎকালীন সময়ের খ্যাতনামা ভারতীয় ক্রিকেট টিমের ক্রিকেটার আলি আব্বাস বেগ-কে চুমু খেয়েছিলেন এক তরুণী! এই রিমেক বিজ্ঞাপনে অবশ্য সিমোনের বদলে দেখা গেছে এক যুবককে।