কানি কুসরুতি প্রায়ই লিঙ্গ বৈষম্য, মহিলাদের অধিকার ও ক্ষমতায়নের পক্ষে কথা বলে থাকেন। শুধু তাই নয়, তিনি বহুবার পরিবেশগত সমস্যা নিয়েও সোচ্চার হয়েছেন। তাঁর কথায় বারবারই সমতা বজায় রেখে জীবনযাপন, সাম্যবাদী সহাবস্থানের মতো বিষয় উঠে এসেছে। এমনকী রাজনীতি নিয়েও স্পষ্ট বক্তা অভিনেত্রী। আর এবার তাঁর ক্লাচের জন্য তিনি শিরোনামে। অনেকের মতে, এই ক্লাচের মাধ্যমেই নাকি অভিনেত্রী ‘কান’-এর মঞ্চ থেকে দিলেন প্যালেস্তাইনের পাশে থাকার বার্তা!
কী ভাবে বার্তা দিলেন অভিনেত্রী?
পায়েল কাপাডিয়া পরিচালিত 'অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট' ৩০ বছরের মধ্যে প্রথম ভারতীয় সিনেমা যা কান চলচ্চিত্র উৎসবের প্রধান প্রতিযোগিতা বিভাগে নিজের জায়গা করে নিয়েছে। গতকাল রাতে ছবিটি দেখানো হয়েছিল। সিনেমাটি আট মিনিটের অভেশন পেয়েছে। এই ছবিতেই একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছেন কানি। তাই তিনিও উপস্থিত ছিলেন কান চলচ্চিত্র উৎসবের রেড কার্পেটে। আর সেখানেই নজর কেড়েছিল তাঁর হাতে ধরা ক্লাচটি।
আরও পড়ুন: বন্ধুর জন্য ১৭ বছর পর আবার কান চলচ্চিত্র উৎসবে হাজির প্রীতি! প্রকাশ্যে এল তাঁর প্রথম লুকের ভিডিয়ো
সেটি আপাতদৃষ্টিতে দেখে তরমুজ ডিজাইনের একটি ফ্যাশনেবল ক্লাচ মনে হলেও, অনেকের ধারণা আদতে তা নয়। তাঁর মধ্য লুকিয়ে ছিল গভীর অর্থ। আসলে কাটা তরমুজকে মনে করা হয় প্যালেস্তাইনের প্রতীক। তাই অভিনেত্রীর হাতের ক্লাচ দেখে খুব স্বাভাবিক ভাবেই অনেকে মনে করেছেন তিনি প্যালেস্তাইনের জনগণকে সমর্থন জানানোর উদ্দেশ্যেই এই ব্যাগটি নিয়ে সামিল হয়েছিলেন 'কান'-এর লাল গালিচায়।
পরিচালক পায়েল কাপাডিয়া তাঁর ছবির কলাকুশলীদের সঙ্গে 'কান'-এর লাল গালিচায় শুধু হেঁটেছেন তাই নয়, একসঙ্গে নাচও করেছেন। বিশ্ববাসীকে সাক্ষী রেখে তৈরি হয়েছে এক অসাধারণ মুহূর্ত।
আরও পড়ুন: ‘পার্টনারের ফোন চেক করি এখনও…’ কেন এমন করেন জাহ্নবী? জানালেন নিজেই
তরমুজের সঙ্গে প্যালেস্তাইনের কী সম্পর্ক?
একটি তরমুজ যখন কাটা হয় তখন তার মধ্যে চারটি রং দেখা যায়। লাল রঙের শাঁস, সবুজ ও সাদা খোসা ও কালো রঙের বীজ। প্যালেস্তাইনের পতাকাতেও এই চার রং রঙ দেখা যায়। যেহেতু প্যালেস্তাইনের পতাকা বহন এবং প্রদর্শন ইজরায়েল নিষিদ্ধ করেছে, তাই পতাকার পরিবর্তে একটি তরমুজকেই পতাকার প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
কানি কুসরুতির পরিচয়
কানি কুসরুতি একজন উদীয়মান তারকা। কেরালা তাঁর জন্ম। প্রাথমিক ভাবে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করলেও অন্তর থেকে তিনি একজন শিল্পী। তাই পরে তিনি অভিনয়কেই বেছে নেন। ২০০৯ সালে কানি প্রথম মালায়ালাম চলচ্চিত্রের দুনিয়ায় পা রাখেন।