অবশেষে চলতি সপ্তাহেই মুক্তি পেতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত ছবি 'গঙ্গুবাঈ কাথিওয়াড়ি'। ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন আলিয়া ভাট, প্রথমবার বনশালির নায়িকা হিসাবে রুপোলি পর্দায় মহেশ ভাট কন্যা। তার আগে খুশির হাওয়া প্রযোজক সংস্থায়। কেন? না, সেন্সর বোর্ড-এর তরফে ইউ/এ সার্টিফিকেট পেয়েছে এই ছবি। সহজ কথায়, এবার এই ছবি প্রেক্ষাগৃহে সব বয়সী দর্শকরাই দেখতে পাবেন। ফলত, স্বস্তির নিঃশ্বাস বনশালির টিমে।
তবে ইউ/এ ছাড়পত্র পাওয়ার অন্তরালেও উঠে এসেছে অন্য একটি গল্প। শোনা যাচ্ছে, সেন্সর বোর্ডের নির্দেশ মতো ছবিতে চারটি বেশ বড়সড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। তারপরেই 'গঙ্গুবাঈ কাথিওয়াড়ি'-র জন্য ইউ/এ সার্টিফিকেট পেয়েছেন বনশালি। বলিউড হাঙ্গামায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে একটি অশ্লীল সংলাপ বদলে তার জায়গায় 'মাদারঝাঁট' শব্দটি বসানো হয়েছে। এরপর প্রায় ১৭ সেকেন্ড লম্বা সংলাপ সহ একটি দৃশ্যের উপর কাঁচি চালিয়েছে সেন্সর বোর্ড। শুধু তাই নয়, দেশের প্রয়াত প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে নিয়ে ছবিতে রাখা একটি দৃশ্যও রদবদল করা হয়েছে। সেখানে নাকি দেখা গিয়েছিল ‘গঙ্গুবাঈয়ের কাঁধে গোলাপ রাখছেন নেহেরু। উল্লেখ্য,হুসেন জাইদির লেখা ‘মাফিয়া কুইনস অফ মুম্বই’ বইতেও নেহেরুর সঙ্গে গঙ্গুবাঈয়ের সাক্ষাতের কথা লেখা রয়েছে।এখানেই শেষ নয়। ওই দৃশ্যের মধ্যে যে সত্যতা নেই সেই কথাও উল্লেখ করা হয়েছে একটি স্লাইডের মাধ্যমে।
হুসেন জাইদির লেখা ‘মাফিয়া কুইনস অফ মুম্বই’ অবলম্বনে তৈরি ‘পদ্মাবত’ পরিচালকের এই ছবি। এস হুসেন জাইদির লেখা বই 'মাফিয়া কুইনস অফ মুম্বই' থেকে জানা যায়, মাত্র ১৬ বছর বয়সে বাবার হিসাবরক্ষকের সঙ্গে গঙ্গা হরজীবনদাস কাথিওয়াড়ি গুজরাত থেকে মুম্বইয়ে পালিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু প্রেমে ধোঁকা খেতে হয়েছিল এই কিশোরীকে। বিয়ে করেও স্বামী তাঁকে বিক্রি করে দেয়। ডন করিম লালার একাধিক গ্যাং মেম্বার তাঁকে বারবার ধর্ষণ করে। তবুও হাল ছাড়েননি গঙ্গুবাই। ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন। শেষমেষ করিম লালার সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন গঙ্গুবাই। তাঁর এই অদম্য মনোভাব জয় করে নিয়েছিল করিম লালার মন। তাঁকে নিজের বোনের সম্মান দেয় করিম লালা। এরপরই কামাঠিপুরায় একটি গণিকালয় শুরু করেন গঙ্গুবাই।
সম্প্রতি, ৭২তম বার্লিন ইন্টারন্যাশন্যাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রিমিয়ার হয়েছে এই ছবির। এরপর ২৫শে ফেব্রুয়ারি বক্স অফিসে মুক্তি পাবে 'গঙ্গুবাঈ'।