সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তে মুম্বইয়ে পা রাখা পর্যন্ত ব্যস্ততা থামছে না সিবিআইয়ের ১৫ সদস্যের দলের। শুক্রবারের পর শনিবার সকাল থেকেও তদন্ত শুরু করে দিয়েছে সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দল। সান্তাক্রুজের ডিআরডিও গেস্ট হাউজে খাঁটি গেড়েছে সিবিআইয়ের বিশেষ টিম। পাঁচটি দলে ভাগ হয়ে এই মামলার তদন্ত করছে সিবিআইযের টিম।
শনিবার সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তে প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কুপার হাসপাতালে পৌঁছাল সিবিআইয়ের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। মুম্বইয়ের এই হাসপাতালেই ১৪ জুন ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল সুশান্তের। মুম্বই পুলিশ আগেই জানিয়েছিল, ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্টে কুপার হাসপাতালের পাঁচজন চিকিত্সক সহমত পোষণ করেছেন সুশান্তের মৃত্যু হয়েছে ‘ঝুলে পড়বার কারণে শ্বাসরোধ হয়ে’। এই মৃত্যুতে কোনওরকম ফাউল প্লে-র সম্ভাবনা দেখা যায়নি। তবে ভিসেরা সংগ্রহ করে ফরেনসিক অ্যানালিসিসের জন্য পাঠানো হয়েছে।
যদিও সুশান্তের মৃত্যুর পর যে ছবি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে যায় সেই ছবিতে প্রয়াত অভিনেতার গলার দাগ দেখে অনেক ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ সন্দেহ প্রকাশ করেছে। সুশান্তের অটোপসি রিপোর্টও গতকাল সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়ে যায়। সুশান্তের ময়নাতদন্ত করেছেন যে পাঁচ চিকিত্সক তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন সিবিআইয়ের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের এই টিম।
সুশান্তের অটোপসি রিপোর্টে উল্লেখ নেই মৃত্যুর সময়ের। যা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন। পাশাপাশি কীভাবে ১৫ জুন কুপার হাসপাতালের মর্গে রিয়া চক্রবর্তীকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হল সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
সুশান্তের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট, অভিনেতার শরীরের আঘাতের চিহ্ন, সহ সংগ্রহীত সমস্ত প্রমাণের বিস্তারিত বিশ্লেষণ করবে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স (AIIMS)-এর বিশেষজ্ঞরা। যাঁদের পাঁচ সদস্যের দল ইতিমধ্যেই মুম্বইতে রয়েছে সিবিআইয়ের বিশেষ টিমের সঙ্গে। এই গোটা প্রক্রিয়ার নেতৃত্বে থাকছেন AIIMS-এর ফরেনসিক ডিপার্টমেন্টের প্রধান সুধীর গুপ্তা।