ক্রমশ ঘনীভূত হতে থাকা অভিনেতা সুশান্ত সিংয়ের মৃত্যু রহস্যের জট খুলতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে সিবিআই । এই মামলায় মুম্বই পুলিশের তদন্ত নিয়ে বারবার গাফিলতি এবং ঢিলেমির অভিযোগ উঠেছে নেটদুনিয়ায়। কিন্তু এই হাই-প্রোফাইল মামলায় কোনওরকম খামতি রাখতে চায় না কেন্দ্রীয় সংস্থা। তাই সবরকম দৃষ্টিকোণ দিয়ে এই মামলার তদন্ত করেছে সিবিআই।
রিপাবলিক মিডিয়া সূত্রে খবর, মুম্বইয়ে এই তদন্তের তৃতীয় দিন মায়ানগীর ওয়াটারস্টোন রিসর্টে পৌঁছেছিলেন সিবিআইয়ের একটি টিম। জানা যায় এই রিসর্টেই দু মাস ধরে সুশান্তের 'স্পিরিচুয়াল হিলিং' বা আধ্যাত্মিক চিকিত্সা চালিয়েছেন রিয়া ও তাঁর পরিবার বলে খবর। সুশান্তের পরিবারের তরফে দুমাস সুশান্তকে এই রিসর্টে ‘আটক’ রাখবার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে ঠিক কোনসময় এই রিসর্টে ছিলেন সুশান্ত,রিয়া ও অভিযুক্ত নায়িকার পরিবার তা স্পষ্ট নয়।
আগেই রিপাবলিক মিডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে মোহন যোশি নামের এক আধ্যাত্মিক গুরু স্বীকার করে নিয়েছেন রিয়া চক্রবর্তীর অনুরোধে সুশান্তের স্পিরিচুয়াল হিলিংয়ের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। গত বছর নভেম্বর মাসের ২২ ও ২৩ তারিখে সুশান্তের সঙ্গে দুটি সেশনের আয়োজন করেছিলেন মোহন যোশি। এবং সুশান্তের সমস্যা সম্পর্কে সব তথ্যই রিয়া তাঁকে দিয়েছিল বলে জানান তিনি।
সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারেরা বেশ কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে কাজ করছেন । সুশান্ত- এর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ডিটেলস ঘেঁটেই আজ ওই রিসর্টে পৌঁছায় সিবিআইয়ের টিম। একাধিকবার বিল পেমেন্টের সব নথি রয়েছে গোয়েন্দাদের হাতে। এদিন সিবিআইয়ের আরেকটি দল পৌঁছেছিল মুম্বইয়ের হিন্দুজা হাসপাতালে, সেখানে সুশান্তের মনোবিদ করসি চাভরার বয়ান নিতেই নাকি পৌঁছেছিল সিবিআই। সুশান্তের মানসিবভাবে অবসাদগ্রস্ত হওয়া এবং সেই সম্পর্কিত চিকিত্সার ব্যাপারে কোনও তথ্যই নেই পরিবারের কাছে এফআইআরে জানিয়েছেন সুশান্তের বাবা কেকে সিং।
১৩ এবং ১৪ই জুন ঠিক কি কি হয়েছিল অভিনেতার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে, সেদিন ওই অ্যাপার্টমেন্টে উপস্থিত পাঁচজনের মধ্যে তিনজন সিদ্ধার্থ পিঠানি, নীরজ এবং দীপেশ সাওয়ান্তকে বারবার নানাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। । শনিবার সুশান্তের ফ্ল্যাটে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করানো হয় । প্রায় পাঁচ ঘন্টা সেখানে ছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অফিসারেরা । শেষে রাত সাড়ে ৮টার সময় তাঁরা বেরিয়ে আসেন অ্যাপার্টমেন্ট থেকে। রবিবারও তিনজনকে সঙ্গে নিয়ে বান্দ্রার কার্টার রোডের ফ্ল্যাটে পৌঁছেছিলেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা।সেখান থেকে এদিন সন্ধ্যায় ফের পৌঁছায় ডিআরডিও গেস্ট হাউজে। অপর একটি দল পৌঁছায় বান্দ্রা পুলিশ থানায়।