লোয়ার প্যারেলে শাহরুখ খানের ম্যানেজার পূজা দাদলানির সিসিটিভি ফুটেজ সম্প্রতি হাতে এসেছে স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম (SIT)র। কিছুদিন আগে প্রমোদতরীতে মাদক মামলায় ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তদন্তের দায়িত্বে থাকা সমীর ওয়াংখেড়ের ওপর। কিন্তু পরে স্যাম ডিসুজা নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন সমীর ওয়াংখেড়ে কোনও ঘুষ নেননি। বরং, ঘুষ দিয়েছেন শাহরুখের ম্যানেজার পূজা দাদলানি কেপি গোসাভিকে (গ্রেফতার হওয়ার পর যার সাথে আরিয়ানের সেলফি ভাইরাল হয়েছিল)। এই গোসাভির বডিগার্ড প্রভাকর সেইল আবার দাবি করেছেন, গোসাভি আর স্যাম ডিসুজা নামে এক ব্যক্তি দেখা করেছিল শাহরুখ খানের ম্যানেজার পূজা দাদলানির সাথে ১৮ কোটির ডিলে আরিয়ানকে ছাড়ানোর শর্তে। কিন্তু এই মাম ডিসুজার আবার দাবি, তিনি পূজার সাথে গোসাভির দেখা করিয়ে দেওয়ার জন্য ৫০ লাখ টোকেন মানি নিয়েছিলেন। কিন্তু যখন বুঝতে পারেন গোসাভি একজন জালিয়াত তখন সেই টাকা ফেরত দিয়ে দেন।
আপাতত পুণে পুলিশের অধীনে এক জালিয়াতি মামলায় হাজতে আছেন গোসাভি ৫ নভেম্বর অবধি। তদন্তকারী টিম সূত্রে খবর, গোসাভির বিরুদ্ধে আরিয়ান খান মামলায় তদন্তের সুবিধার্থে কেস ফাইল করা হতে পারে। তার মাঝেই তদন্তকারী টিমার হাতে এল এই সিসিটিভি ফুটেজ। যেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, আরিয়ান খান গ্রেফতার হওয়ার পর লোয়ার প্যারেলে (যেখানে বসে আরিয়ানকে ছাড়াতে টাকার ডিল হয়েছিল বলে দাবি) সত্যিই হাজির ছিলেন পূজা দাদলানি।
শাহরুখের ছেলে আরিয়ানের বিরুদ্ধে মাদক মামলা এক নাটকীয় মোড় নেয়, যখন এই মামলার এক সাক্ষী প্রভাকর সেইল দাবি করে এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে খালি কাগজে তাঁর সই নিয়েছে। সঙ্গে নিজের অভিযোগে সে জানায়, কেপি গোসাভির টেলিফোনিক কথোপকথন সে শুনেছে, যেখানে বলা হয়েছে আরিয়ানকে ছাড়া হতে ১৮ কোটি ঘুষ দেওয়া হবে। এবং সেই টাকা থেকে কিছুটা পাবে এনসিবির সমীর ওয়াংখেড়েও।
যখন এই সমস্ত অভিযোগ নিয়েই তদন্ত চলছিল তখন আরও এক নতুন দিক সামনে আসে। তদন্তের সাথে জড়িয়ে থাকা নাম স্যাম ডিসুজা দাবি করে বসেন, গোসাভিকে পূজা দাদলানি ৫০ হাজার টাকা দিয়েছে আরিয়ানকে মাদক মামলায় ছাড়িয়ে আনার জন্য। যেহেতু, আরিয়ানের কাছ থেকে কোনও মাদক পাওয়া যায়নি। এটা অক্টোবর ২-৩র কথা। যখন শুধু আটক হয়েছেন আরিয়ান, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। এর সঙ্গে সমীর ওয়াংখেড়ে জড়িত নয় কোনওভাবে।
২২ দিন আর্থার রোড জেলে কাটানোর পর অক্টোবরের ৩০ তারিখ জামিনে মন্নতে ফেরেন আরিয়ান।