তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বলিউডি সঙ্গীতের জগতে নিজের জাদু ধরে রেখেছেন জলি মুখোপাধ্যায়। যিনি 'কিং অফ স্ট্রিংস' নামেও পরিচিত সঙ্গীতপ্রেমীদের কাছে। মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে ইতিমধ্যেই ৩৩ বছর পার করে ফেলেন এই বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী। জলি মুখোপাধ্যায়ের এই সুদীর্ঘ মিউজিক্যাল জার্নিকেই এবার সেলিব্রেট করে নিচ্ছে লেক ক্লাব। প্রেম দিবসের জলি মুখোপাধ্যায়ের প্রেম-গীতে ভাসবে তিলোত্তমা। অনুষ্ঠানের নাম ‘চাঁদনি ও মেরি চাঁদনি’। কিশোর কুমার, আরডি বর্মন, লক্ষ্মীকান্ত প্যায়ারে লাল থেকে অনু মালিক, যতীন-ললিত কিংবা নদিম-শ্রবণ, আশি ও নব্বইয়ের দশকের এমন কোনও সঙ্গীত পরিচালক নেই যাদের সুরে গান রেকর্ড করেননি জলি মুখোপাধ্যায়।
এই ব্যাপারে জলি মুখোপাধ্যায় জানান, ‘ ভারতীয় সঙ্গীত জগতের রথী-মহারথীদের সঙ্গে কাজ করবার সুযোগ পাওয়ায় আমি সত্যি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। আমার এই যাত্রাপথ সুদীর্ঘ এবং আমার কোনও আক্ষেপ নেই-আজও সমান উত্সাহ নিয়েই গান করে চলেছি। আমি খুব খুশি যে কলকাতাবাসীর সামনে ফের একবার গানের ডালি নিয়ে আমি হাজির হব। যে সমস্ত সঙ্গীত শিল্পীরা আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন তাঁদের প্রতি সম্মান জানানোটা আমার কাছে একই সঙ্গে গর্বের ও সম্মানের’।
এদিন মঞ্চে কিশোর কুমার, মহম্মদ রফি, মুকেশ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, আরডি বর্মনের গান গাইবেন জলি মুখোপাধ্যায়। মঞ্চে তাঁর সঙ্গে দেবেন খোদ আরডি বর্মনের মিউজিশিয়ানরা। সেই তালিকায় রয়েছেন রাজ সোধা, কিশোর সোধা, নীতিন শঙ্কররা।
ফিরোজ খানের দয়াবান ছবির সঙ্গে ১৯৮৮ সালে বলিউড মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে জার্নি শুরু হয় জলি মুখোপাধ্যায়ের। ছবিতে তাঁর গাওয়া ‘চাহে মেরি জান তু লেলে’ গানটি আজও সমান জনপ্রিয়। এছাড়াও জলি মুখোপাধ্যায়ের কন্ঠে চাঁদনি ছবির ‘চাঁদনি ও মেরি চাঁদনি’ গানটি হিন্দি ছবির ইতিহাসের অন্যতম জনপ্রিয় গান।