কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যেই সেই দেশে জারি করা হয়েছে কারফিউ। লাফিয়ে লাফিয়ে মৃতের সংখ্যা। তার মধ্যেই দেশের এই অবস্থা নিয়ে কী বললেন ওপার বাংলার তারকারা?
কী বললেন মোস্তফা সরওয়ার ফারুকি?
এদিন বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের একাধিক ছবি এবং ভিডিয়ো পোস্ট করে তিনি লেখেন, 'গোটা বিশ্ব থেকে বন্ধুরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে চাইছেন বাংলাদেশে কী চলছে, আমরা কেমন আছি? ধন্যবাদ এই উদ্বেগ দেখানোর জন্য। সংক্ষিপ্ত ভাবে বলতে গেলে বাংলাদেশ বর্তমানে তাদের ইতিহাসের সব থেকে বড় গণঅভ্যুত্থানের সাক্ষী থাকছে যার নেতৃত্ব দিচ্ছে ছাত্ররা। স্থানীয় এবং বিশ্বের সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী কোটা আন্দোলন হিসেবে শুরু হলেও সেটা দ্রুত দুর্নীতি, বৈষম্য, ইত্যাদি বিষয়কে জুড়ে নেয়। সরকার এখন শক্ত হাতে এটা দমাতে চাইছে, কিন্তু তাতে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠছে। প্রথম আলোর খবর অনুযায়ী একদিনেই ২৭ জন ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে। ২৭টা তরতাজা প্রাণ নিয়ে নিল ওরা। AFP এর রিপোর্ট অনুযায়ী মঙ্গলবারের হিসেব অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা ১০৫। বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।'
কী লিখেছেন চঞ্চল চৌধুরী?
চঞ্চল চৌধুরীও এদিন এই বিষয় নিয়ে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, 'পেশাগত কাজে প্রায় বিশ দিন আমেরিকা থাকার পর গতকাল রাতে ঢাকায় ফিরেছি। সেখানে বসে এই কয়দিন নিউজ গুলো দেখে হতবাক হয়েছি। হয়েছি শোকাহত! সমাধানের অন্য কোন পথ কি খোলা ছিল না? গুলি কেন করতে হল? বুকের রক্ত না ঝড়িয়ে সুষ্ঠু সমাধান করা যেত না? যা ঘটে গেল এটা যেমন মোটেও কাঙ্খিত নয়, বিষয়টা তেমনই হৃদয়বিদারক, মর্মান্তিক এবং সভ্যতা বর্হিভূত! আমি খুব সাধারণ একজন মানুষ এবং অভিভাবক হিসেবে রাজনীতির এত এত কঠিন কৌশল বুঝিনা। শুধু একটা প্রশ্ন বুঝি তরুণ তাজা যে প্রাণগুলো অকালে ঝড়ে গেল, তার দায় কে নেবে? যে মায়ের বুক খালি হল, তাঁর আর্তনাদ কি কোনও জন্মে শেষ হবে? হায় রে দুর্ভাগা দেশ! নোংরা রাজনীতির নামে এই রক্তপাত বন্ধ হোক।'
আরও পড়ুন: করিনাকে ‘টেকেন ফর গ্রান্টেড’ করে নিয়েছেন সইফ! বরের নামে অভিযোগ করে কী জানালেন বেবো?
এপার বাংলার একাধিক তারকা, যেমন ঋদ্ধি সেন, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, কবীর সুমন প্রমুখ এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। সোচ্চার হয়েছেন সাধারণ নাগরিকরাও।