আন্তর্জাতিক মাতৃ দিবসে আম জনতা থেকে তারকারা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের মতো করে মাতৃবন্দনা করেছেন। পিছিয়ে ছিলেন না ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীও। মা-কে আগলে একটি মিষ্টি ছবি নিজের অফিসিয়্যাল ফেসবুক পেজের প্রোফাইল পিকচার বানিয়ে ফেলেন অভিনেতা, আর ক্যাপশনে লেখেন ‘মা’ সঙ্গে জুড়ে দেন একটি ভালোবাসার ইমোজি।
টেলিভিশন ও ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতার এই ছবিতে ভালোবাসা উজাড় করে দিয়েছেন ভক্তরা, তবে ভেসে এসেছে কটূ্ক্তিও। সেখানে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা করা হয়েছে অভিনেতার ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে। নেটিজেনদের একাংশ চঞ্চল চৌধুরীর হিন্দু পরিচয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। নিন্দুকদের মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন ‘আয়নাবাজি’খ্যাত অভিনেতা। তিনি স্পষ্ট ভাষায় উত্তর দিয়েছেন। উল্লেখ্য, অভিনেতার মায়ের সিঁথিতে সিঁদুর, হাতে শাখা-পলা দেখেই অভিনেতার ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে একের পর এক কটূক্তি ভেসে আসে।
তবে দুষ্টু কিছু মানুষ তো সবখানেই থাকে। ‘আয়নাবাজি’খ্যাত অভিনেতার মায়ের ছবি দেখে কেউ কেউ জিজ্ঞাসা করেছেন, চঞ্চল চৌধুরী হিন্দু কিনা। তার ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই বিতর্কে জড়ান অনেকে। অভিনেতার মায়ের সিঁথিতে সিঁদুর দেখেই তারা এমন প্রশ্ন তুলেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চঞ্চল চৌধুরীর সাফ জানিয়ে দেন, ধর্ম নয় বরং মানুষ হিসেবেই তার পরিচয়টা মুখ্য। তিনি কমেন্ট বক্সে লেখেন- ‘ভ্রাতা ও ভগ্নিগন, আমি হিন্দু নাকি মুসলিম, তাতে আপনাদের লাভ বা ক্ষতি কি? সকলেরই সবচেয়ে বড় পরিচয় ‘মানুষ’। ধর্ম নিয়ে এসকল রুচিহীন প্রশ্ন ও বিব্রতকর আলোচনা সকল ক্ষেত্রে বন্ধ হোক। আসুন, সবাই মানুষ হই'।
অভিনেতার এই মনোভাবের প্রশংসা করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন অনেকেই। তাঁর এই মন্তব্যে ইতিমধ্যেই লাইক সংখ্যা ২০ হাজার ছুঁইছুঁই। মানবতাই যে শ্রেষ্ঠ ধর্ম সেই বার্তাই দিলেন ওপার বাংলার এই তারকা।