ছোট পর্দার অতি পরিচিত মুখ তিনি। তবুও কখনও, কমফোর্ট জোন পেরিয়ে অন্য কোথাও নিজেকে মেলে ধরতে ইচ্ছে করেই। ঠিক তেমনটাই হয়েছে চাঁদনি সাহার সঙ্গে। তিনি ৪ বছর আগে বন্য প্রেমের গল্প ২ সিরিজে কাজ করেছেন বলেই এদিন একটি পোস্টে জানান। কিন্তু তারপর আর কাজ পাননি ওয়েব মাধ্যমে। সেই বিষয়ে এবার খানিক হতাশা, ক্ষোভ উগরে কী লিখলেন অভিনেত্রী?
আরও পড়ুন: পরীক্ষার আগে নুসরতের আশীর্বাদ চাইল পড়ুয়া! খুদে ভক্তের অনুরোধে কী কাণ্ড ঘটালেন অভিনেত্রী?
কী লিখলেন চাঁদনি সাহা?
চাঁদনি এদিন স্পষ্টতই তাঁর পোস্টে লেখেন যে ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে কী ঘটছে তিনি বুঝছে না। তবে ৪ বছর আগে তিনি যে কাজের জন্য এত প্রশংসা পেলেন, সেই কাজের পর আর কোনও সিরিজে কীভাবে অফার পেতে পারেন না বুঝতে পারছেন না। এই বিষয়ে চাঁদনি লেখেন, 'আশা করব যাঁরা সেনসিটিভ তাঁরা বিষয়টা বুঝতে পারবেন। আমি জানি না আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে ঠিক কী ঘটছে। খুব খারাপ লাগে যখন বুঝি যে আমার শিল্পটা ভালো করে জানলে, বুঝলেও, মন দিয়ে কাজ করলেও সুযোগ আসবেই সেটার কোনও গ্যারেন্টি নেই। ২০২০ সালে আমি বন্য প্রেমের গল্প ২ নামক একটি সিরিজে কাজ করেছিলাম এসভিএফের আন্ডারে। খুব ভালো রেসপন্স পেয়েছিলাম। ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই, দর্শকরা প্রশংসা করেছিলেন। কিন্তু পজিটিভ রেসপন্স পাওয়ার পরও আমি আর কোনও কল পাইনি।'
তিনি এদিন আরও লেখেন, 'গত ৪ বছরে আমি অনেক সিরিজ দেখেছি যেগুলো দেখে মনে হয়েছে আমি এই চরিত্রটা করতে পারতাম, বা যে করেছে তার থেকে আরও ভালো করতে পারতাম। কিন্তু কল আসেনি। খুব হতাশাগ্রস্ত লাগে, ১৩ বছর ধরে এই কাজটা ভালোবেসে করার পর জানি না আর কী করা উচিত। আমি একজন অভিনেতা। কিন্তু অভিনয়টাই বোধহয় আর যথেষ্ট নয়। PR বা নেটওয়ার্কিং বা অন্য কিছু যা আমি পারি না সেগুলো হয়তো এখন জরুরি। তবে এই লড়ায়গুলোর সঙ্গে আমার সঙ্গে থেকেছে টিভি। ছোট পর্দাই আমার স্টেজ, আমার লাইফ লাইন আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ যে এই মাধ্যম আমায় সম্মানের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ দিয়েছে, দেয়। তবে অন্যান্য অভিনেতাদের মতো আমিও OTT, ফিল্মের দুনিয়া এক্সপ্লোর করতে চেয়েছিলাম। নিজের কমফোর্ট জোনের বাইরে বেরোতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বাস্তবটা অনেকটাই আলাদা।'
তাঁর এই পোস্টে মন্তব্য করেছেন অভিনেত্রী শ্রুতি দাস। ছোট পর্দার রাঙা বউ এই পোস্টে লেখেন, 'আমি বুঝি ব্যাপারটা। শক্ত থাকো। লড়াই চালিয়ে যাও।' মন্তব্য করেছেন ছোট পর্দার আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রেরণা ভট্টাচার্য। তাঁর মন্তব্যও কম বেশি একই চাঁদনির মতোই।