ছেঁড়া জিনস নিয়ে মেয়েদের কটাক্ষ উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর! 'চিন্তা বদলান',পরামর্শ নভ্যার

পোশাক বিতর্ক উসকে ছেঁড়া জিনস পরা মেয়েদের নিয়ে প্রশ্ন তুললেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। সমালোচনার ঝড় দেশজুড়ে।

নভ্যার পালটা জবাব

দিন কয়েক আগেই উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেছেন তিরথ সিং রাওয়াত। আর নতুন দায়িত্ব নিয়েই বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন তিরথ। মেয়েদের ছেঁড়া জিনস পরা নিয়ে শালীনতার পাঠ দিতে গিয়ে ব্যাপক বিতর্কের মুখে বিজেপির এই নেতা। নানা মহল থেকে তিরথের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করা হচ্ছে, পিছিয়ে থাকলেন না বচ্চনের নাতনি নভ্যা নাভেলি নন্দাও। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী দেরাদুনে স্টেট কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস আয়োজিত একটি ওয়ার্কশপে গিয়ে জানান যে সব মেয়েরা ছেঁড়া জিনস পরে, তাঁরা বাড়িতে ছেলে মেয়েদের সঠিক পরিবেশ দিতে ব্যর্থ। 

এর পালটা জবাবে বচ্চনের নাতনি, নভ্যা নাভেলি নন্দা ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লেখেন- ‘তোমার মানসিকতা বদলানো উচিত মেয়েদের পোশাক বদলের পরামর্শ দেওয়ার আগে। কারণ একমাত্র চমকে যাওয়ার মতো বিষয় হল এই ধরণের মন্তব্য যা সমাজকে দেওয়া হচ্ছে। ভাবতে পারছি না…. ’। সঙ্গে তিরথ সিং রাওয়াতের মন্তব্যের একটি অংশ উদ্ধৃত করেন নভ্যা। 

ঠিক কী বলেছেন  উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী? 

তিরথের মতে,‘ছেঁড়া ডেনিম পরছেন, হাঁটু দেখা যাচ্ছে, এই মূল্যবোধই দেওয়া হচ্ছে এখন। কোথায় থেকে শেখানো হচ্ছে এসব? স্কুল বা শিক্ষকদের কী কোনও ভুল রয়েছে? আমরা ছেলেকে ছেঁড়া জিনস পরিয়ে কোথায় নিয়ে চলেছি তাকে? মেয়েরাও ছেঁড়া জিনস পরছে। এটা কি ভালো? সকলে পশ্চিমী দেশগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিতে দৌড়চ্ছেন। যেখানে পশ্চিমী দেশগুলো আমাদের যোগাসনকে অনুসরণ করছেন, সেখানে কেন ভারতীয়রা ছেঁড়া জিনস পরছেন?'

নভ্যার পালটা জবাব

এখানেই থেমে যাননি নভ্যা। ইনস্টা স্টোরিতে নিজে ছেঁড়া বা টর্নড জিনস পরা একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘হ্যাঁ, আমি ছেঁড়া জিনস পরি, এবং ধন্যবাদ… খুব গর্বের সঙ্গে আমি ছেঁড়া জিনস পরি’। 

নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে হামেশাই সরব বচ্চন তনয়া শ্বেতা বচ্চনের কন্যা, নভ্যা। বর্তমানে ‘আরা’(Aara) নামক একটি স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে যুক্ত তিনি। এছাড়াও প্রোজেক্ট নভেলি (Project Naveli)-র প্রতিষ্ঠাতা তিনি। এর মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া মেয়েদের সমাজের মূল স্রোতে ফেরানোর চেষ্টা করচেন নভ্যা। যাতে সমাজ থেকে লিঙ্গবৈষম্য দূর হয়।