ফের উসকে গেল শোয়েব মালিক এবং সানিয়া মির্জার বিচ্ছেদের গুঞ্জন। ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল গাঁটছড়া বাঁধেন তাঁরা। কিন্তু বিয়ের মাত্র ১৩ বছরের মধ্যেই ফাটলের ইঙ্গিত মিলল।
ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়ার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন পাক-ক্রিকেটার শোয়েব মালিক। তাঁদের প্রথম সন্তান ২০১৮ সালে জন্ম নেয়। কিন্তু আচমকা কী নিয়ে আবার তাঁদের এই বিচ্ছেদের গুঞ্জন ছড়ালো?
শোয়েব মালিক তাঁর ইনস্টাগ্রামের বায়োতে বেশ অনেকটাই পরিবর্তন এনেছেন। আর সেই বদল মোটেই নজর এড়ায়নি ভক্তদের।
এর আগে শোয়েবের বায়োতে কী লেখা ছিল?
শোয়েব মালিক তাঁর ইনস্টাগ্রাম বায়োতে লিখে রেখেছিলেন যে একজন সুপারওম্যান সানিয়া মির্জার বর। এবার সেখানে সেটা বদলে তিনি স্বামীর দায়িত্ব থেকে পিতৃত্বকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। তাই তিনি বায়োর একটা অংশ বদলে লিখেছেন যে তিনি একজন গর্বিত বাবা।
আর এরপরই শুরু হয়ে গিয়েছে ফিসফাস। অনেকেই মনে করছেন এই দুই ক্রীড়াবিদের মধ্যে বিশেষ কিছু ঠিক নেই। তাঁরা হয়তো বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন। তবে এটাই প্রথমবার নয়। এর আগেও একবার এমনটা রটেছিল। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে আচমকাই খবর রটে যায় শোয়েব এবং সানিয়া আলাদা থাকছেন। সেপারেশনে রয়েছেন তাঁরা। কিন্তু সেসব গুঞ্জনে জল ঢেলে তাঁরা দুজন মিলে পাকিস্তানি OTT প্ল্যাটফর্ম উর্দুফ্লিক্সে দ্য মির্জা অ্যান্ড মালিক শো হোস্ট করেন।
তখন এও শোনা যায় যে তাঁরা আলাদা থাকলেও একত্রে সন্তানকে মানুষ করছেন। যদি এটা সত্যি হয় তাহলে তাঁদের বহু অনুরাগীর যে মন ভাঙবে সেটা বলাই। একটা সময় তাঁদের ভালোবাসার আইডল বলে অনেকেই মনে করতেন, সেখানে এমন ঘটনা তো যন্ত্রণা দেবেই ভক্তদের।
গন্ডগোল কোথায়?
আসলে ২০১১ সালে শোয়েব পাকিস্তানি অভিনেত্রী আয়েশা ওমরের সঙ্গে একটি হট সিজলিং ফটোশুট করেন। তখন অনেকেই মনে করেন এই বিষয়টা একটা কাঁটার মতো হয়ে থেকে গিয়েছে শোয়েব সানিয়ার সম্পর্কে। যদিও তাঁদের ঘনিষ্ঠতার কথা পুরোপুরি অস্বীকার করে যান আয়েশা।