বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Charu-Rajeev: প্রেগন্যান্সিতে বউকে ঠকিয়েছে সুস্মিতার ভাই রাজীব, বড় খোলাসা করলেন চারু আসোপা

Charu-Rajeev: প্রেগন্যান্সিতে বউকে ঠকিয়েছে সুস্মিতার ভাই রাজীব, বড় খোলাসা করলেন চারু আসোপা

প্রেগন্যান্ট বউকে ঠকিয়েছে রাজীব, অভিযোগ চারুর। 

বর রাজীব সেনের নামে ফের বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন চারু আসোপা। দেখুন কী জানালেন তিনি। 

২০১৯ সালের জুন মাসে বিয়ে করার আগে বেশ কয়েকবছরের প্রেম ছিল চারু আসোপা (Charu Asopa) আর সুস্মিতার ভাই রাজীব সেনের (Rajeev Sen)। তবে বিয়ের পর থেকেই সমস্যার শুরু। মাঝএ ২০২১ সালে মেয়ও হয় তাঁদের। তবে ঝামেলা কমেনি একফোঁটাও। আপাতত এই সম্পর্ক ডিভোর্সের পথে গড়িয়েছে। এর আগে চারু জানিয়েছিলেন রাজীব তাঁর গায়ে হাত তুলেছে বেশ কয়েকবার। আর এবার ফাঁস করলেন বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল সুস্মিতা ভাইয়ের, তাও ।খন চারু প্রেগন্যান্ট ছিলেন তখন।

চারু জানান, ‘বিকানেরে কিছু সময় থাকার পর আমি মুম্বইতে ফিরি। এবং আমার প্রেগন্যান্সির বেশিরভাগ সময়টা আমি এখানেই কাটিয়েছি। ও সকাল ১১টায় বেরিয়ে যেত জিমে। গোরাগাঁও থেকে বান্দ্রা যেত, সকাল ১১টায় বেরিয়ে রাত ১১টায় ফিরত। আমি যখনই ওকে প্রশ্ন করতাম এত সময় কেন লাগছে ওর উত্তর হত, ‘আমি ম্যাপে ট্রাফিক দেখে বান্দ্রার কোনও এক কফি শপে বসে কফিতে একটি মুক দেই। তারপর ট্রাফিক কমলে বাড়ি আসি।’ আমি এগুলোই বিশ্বাস করে নিতাম। ও তো কতবার আমাকে বলেছে গাড়িতেই নাকি ঘুমিয়ে পড়েছিল। আরও নানা বাহানা ছিল। একদিন কিছু না বলেই দিল্লি চলে গেল, আমি এখানে ওখানে দেখছি। আর তখনই আমি ওর ব্যাগে কিছু খুঁজে পাই, যার থেকে বুঝতে পারি ও আমাকে ঠকাচ্ছে।’

‘এরপর আমি এই খবরটা সবাইকে জানাই, আর গোটা পরিবার তা জানে। যখনই কিছু ঘটত এরকম আমি ভাবতাম আর একসঙ্গে থাকব না। কিন্তু এতটাই ভালোবাসতাম যে ওর মিথ্যে বাহানাগুলোই মেনে নিতাম, ওর জন্য খারাপ লাগত। মাফ করে দিতাম। বারবার ভেবেছি ওকে একটা চান্স দেই, নতুন করে শুরু করি। বিয়ের সাড়ে তিন বছর কেটে গেল এভাবে নতুন করে শুরু করতে গিয়ে বারবার।’

মাঝে ডিভোর্স থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন চারু আর রাজীব যৌথভাবে। তবে সেই ঘটনার ১ মাস কাটতেই ফের সমস্যা। এবার অভিনেত্রীর বক্তব্য, ‘ডিভোর্সের সব স্টেপ আবার চালু করব, আশা করি রাজীব আমার সঙ্গে সহযোগিতা করবে কোনও ঝামেলা না করে। এর আগেরবারও আমি কোনও ভরণপোষণ দাবি করিনি। তবে এই বিয়েটা আমি আর টেনে নিয়ে যেতে চাই না… করোনার লকডাউনের আগের দিন ও আমায় ছেড়ে চলে গিয়েছিল। তিনটে মাস আমি একা ছিলাম। সবথেকে শেষ বারও ও আমায় ছেড়ে দিয়ে দু দিন হোটেলে গিয়ে থেকেছে। আমি বুঝলাম ওর বয়স ৪৫, আমার পক্ষে ওকে বদলানো সম্ভব নয় এই বয়সে। আমাদের মধ্যে একাধিক ইস্যু রয়েছে, তা ঠিক করার চেষ্টা করে আমি ব্যর্থ হয়েছি। মেয়ে জিয়ানার কথা ভেবেই আমি এটা করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা হল না। রাজীব একটুতেই রেগে যায়, আমার গায়ে দুবার হাতও তুলেছে।’

বন্ধ করুন