মাদককাণ্ডে এনসিবি হেফাজত নয়, শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানের বিচারবিভাগীয় হেফাজত মুঞ্জয় হয়েছে বৃহস্পতিবার। এদিন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের প্রধান আরএম নেরলিকার সাফ জানান, এই মামলায় আরিয়ানকে হেফাজতে রেখে জেরার আর কোনও অর্থ নেই।
শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট খতিয়ে আন্তর্জাতিক মাদক সংস্থার সঙ্গে যোগের অভিযোগ তুলেছিল এনসিবি। কিন্তু আরিয়ানের এই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ থাকার বিষয়টি অনেক দূরের বিষয়, আদালতে দাঁড়িয়ে জামিনের সপক্ষে আবেদনে পালটা জবাব দেন বছর ২৩-এর তরুণের আইনজীবী সতীশ মানেশিন্দে।
আরিয়ানের বন্ধু আরবাজ মার্চেন্টকে গত শনিবারই ক্রুজ থেকে ৬ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেফতার করেছিল এনসিবি, এরপর আরিয়ানকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে অর্চিতকে গ্রেফতার করে এনসিবি। তাঁর কাছ থেকেও মাত্র ২.৬ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। বুধবার গ্রেফতার করা হয় অর্চিত কুমারকে। এনসিবি এদিন আদালতকে জানিয়েছেন, আরিয়ানকে হেফাজতে রাখা দরকার যাতে অচিত কুমারের সঙ্গে তাকেও বিস্তারিত জেরা করতে পারেন। এনসিবির আরও দাবি, অচিত কুমারই আরিয়ানকে ড্রাগ সরবরাহ করত। যদিও আরিয়ানের আইনজীবীর যুক্তি, ইতিমধ্যেই এটা করার জন্য প্রচুর সময় ছিল।
সতীশ মানেশিন্দে আদালতে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘চ্যাটগুলো ডাউনলোড করতে তাদের আর কত সময় লাগবে? চ্যাটগুলো সম্পূর্ণ ফুটবল সম্পর্কিত, আর ফুটবলে কোনও ড্রাগ থাকে না’।
দিন সাতেক আগেই মাদক-কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছে শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান। দু’দফায় এনসিবি হেফাজতের পর বৃহস্পতিবার আরিয়ানকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুক্রবার পর্যন্ত এনসিবির হেফাজতেই রয়েছেন আরিয়ান সহ বাকিরা। এখন পর্যন্ত এই মাদক-কাণ্ডে মোট ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শাহরুখ পুত্রের গ্রেফতারির পর তার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট খতিয়ে দেখেছে এনসিবি আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, আরিয়ানের বন্ধু আরবাজ মার্চেন্টকে গত শনিবারই ক্রুজ থেকে ৬ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেফতার করেছিল এনসিবি, এরপর আরিয়ানকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে অর্চিতকে গ্রেফতার করে এনসিবি। তাঁর কাছ থেকেও মাত্র ২.৬ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার হয়েছে।
এখন পর্যন্ত ছেলের মাদক-কাণ্ডে গ্রেফতারির পর প্রকাশ্যে আসেননি শাহরুখ অথবা গৌরীর কেউই। এমনকি তদন্ত বা তার আইনজীবী বা অন্যান্য প্রতিনিধিদের মাধ্যমেও কোনও মন্তব্য করেননি শাহরুখ খান।