বিতর্ক হামেশা ঘিরে থাকে তাঁকে। তবে ওপার বাংলার সবচেয়ে চর্চিত নায়িকা তিনিই। তাই তো জীবনটা নিজের শর্তে বাঁচেন পরীমনি। এর আগে বারবার বিয়ে ভেঙেছে, তবে শরিফুল রাজের সঙ্গে নতুন করে স্বপ্ন দেখেছেন পরীমনি, ঘর বেঁধেছেন। আর সেই ভালোবাসার ঘর আলো করে সেপ্টেম্বরেই আসবে নতুন অতিথি। পরীমণি এখন রয়েছেন তাঁর গর্ভাবস্থতার তৃতীয় পর্যায়ে।
সন্তানের অপেক্ষায় দিনগোনা চলছে, এর মাঝেই মায়ের হাতে ‘সাধ’ খেলেন পরী! চমকে গেলেন? মেয়েবেলাতেই বাবা-মা'কে হারিয়েছেন পরীমনি। তবুও তাঁর জীবনে এমন অনেক বিশেষ মানুষ রয়েছেন যাঁরা তাঁকে মাতৃস্নেহে আগলে রাখেন। ‘স্বপ্নজাল’ ছবিতে অভিনয়ের সময় থেকে পরীমনি পেয়েছেন তাঁর মা শিল্পী সরকার অপুকে। তিনি নিজের হাতে রেঁধে পরীমনিকে সাত মাসের ‘সাধ’ খাওয়ালেন।
মাতৃত্বের জেল্লা পরীমনির চোখেমুখে। ফুলের নকশা কাটা গোলাপি রঙা শাড়িতে ঝলমল করছেন শরিফুল রাজ ঘরণী। শাড়িটিও আর্শীবাদ স্বরূপ পেয়েছেন মায়ের কাছ থেকেই। টেবিলের উপর সাজানো রকমারি খাবার- চেটেপুটে সেই খাবারের স্বাদ নিচ্ছেন পরীমনি। তাঁর কথায়, ‘আজ মা এসেছিল তার হাতের এত্ত পদের রান্না করা খাবার নিয়ে। শুধু কি রান্না! ফুল,এক জোড়া শাড়ি,জামা আর এত্তগুলো আদর!এই যে একটা শাড়ি পড়েও ফেললাম।
এরপর তিনি পূর্ণগর্ভা পরীমনি যোগ করেন, ‘মা শিল্পী সরকার অপু। এই মাকে আমি পেয়েছি স্বপ্নজাল থেকে। এমন করেই আদর দিও বাকি জীবন। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি.. স্বপ্নের সাধ’।
পরিমনির সাধের অনুষ্ঠানের এই মুহূর্তগুলো লেন্সবন্দি করেছেন শরিফুল। প্রসবের দিন যত এগোচ্ছ ততই যেন সুন্দরী হয়ে উঠছেন পরীমনি। তাঁর আশেপাশের মানুষেরাও কসুর করছেন না হবু মায়ের সব বয়না মেটানোর। দিন কয়েক আগেই হলে মুক্তি পেয়েছে শরিফুল অভিনীত ‘পরান’। বরের হাত ধরে সেই ছবি দেখতে প্রেক্ষাগৃহে গিয়েছিলেন পরীমনি। হাউ হাউ করে কেঁদেছেন ছবি দেখে। নিজের ‘পরান’-এ মুগ্ধ তিনি।
সুযোগ পেলেই বরকে পাশে নিয়ে সারছেন ফটোশ্য়ুট। বউয়ের সব দাবি অক্ষরে অক্ষরে মেনে নিচ্ছেন রাজ। কখনও পরীকে আইসক্রিম খাওয়াচ্ছেন, কখন হবু মায়ের প্রিয় ইলিশ মাছ। দিন গুণছেন দুজনেই, দুই থেকে তিন হওয়ার অপেক্ষায় পরী আর রাজ!