গত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয়বারের জন্য সাত পাক ঘুরলেন গায়ক দুর্নিবার সাহা। সেই নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। দু-বছরের ব্যবধানে দু-টো বিয়ে সেরে তুমুল ট্রোলড হতে হচ্ছে গায়ককে। এর মাঝেই শনিবার অনুষ্ঠিত হল নবদম্পতির বৌভাত। রিসেপশনের রাতে ছকভাঙা সাজে পাওয়া গেল দুর্নিবারের নতুন বউকে। খয়েরি রঙা ব্লাউজের সঙ্গে সোনালি শাড়িতে ঝলমলে ঐন্দ্রিলা (মোহর)। সঙ্গে গা-ভর্তি সোনার গয়না আর মানানসই রূপটান। বউয়ের পাশে সোনালি সুতোর কাজ করা সাদা পাঞ্জাবিতে সেজে পোজ দিলেন দুর্নিবার।
এদিন সাদামাটা আয়োজনের বধূবরণ সারলেন দুর্নিবার। কনেপক্ষের তরফে টলিউডের বহু তারকা বিয়েতে শামিল হলেও এদিন সেরকম তারকা উপস্থিতি চোখে পড়ল না। অভিনেতা রণজয় বিষ্ণু পৌঁছেছিলেন নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানাতে। দুর্নিবারকে ‘শহীদ দিবস’-এর শুভেচ্ছা জানান রণজয়।

দুর্নিবার-মোহরের রিসেপশনে রণজয়
কটাক্ষের মাঝেও হাসিমুখে নিজেদরের বিশেষদিনটা সেলিব্রেট করলেন দুর্নিবার-ঐন্দ্রিলা। ভাতকাপড় থেকে বৌভাত, বিয়ে পরবর্তী সব রীতিই পালন করেছেন তাঁরা। ভাতকাপড়ের অনুষ্ঠানের ছবি নিজের ফেসবুক স্টোরিতে শেয়ার করে নিয়েছেন ঐন্দ্রিলা।

ঐন্দ্রিলার ভাত-কাপড়ের দায়িত্ব নিচ্ছেন দুর্নিবার (ছবি-ফেসবুক)
ইন্ডাস্ট্রিতে ঐন্দ্রিলার একটি বিশেষ পরিচয় আছে। তিনি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের পার্সোনাল ম্যানেজার। গত ৯ই মার্চ কলকাতার এক নামজাদা হোটেলে বসেছিল দুর্নিবার-ঐন্দ্রিলার বিয়ের জমকালো আসর। সেখানে কনেকর্তা হিসাবে দেখা মিলেছিল বুম্বাদার। বিয়ের ছবি প্রকাশ্যে আসতে না আসতেই শুরু হয় ট্রোলিং। যদিও নিন্দকদের কড়া জবাবও দিয়েছেন দুর্নিবার। ফেসবুকে স্ত্রীর সঙ্গে আদুর ছবি পোস্ট করে গায়ক লেখেন, ‘যখন আমরা আলোর রোশনাইয়ে সাজাব, তখন কিছু লোকজন বোকার মতো কিছু মন্তব্য করবেন।’

রিশেপশনের আসরে নবদম্পতি
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সাত পাক ঘুরেছিলেন মীনাক্ষী-দুর্নিবার, যদিও আইনি বিয়েটা ২০১৭-তেই সেরে ফেলেছিলেন তাঁরা। দুর্নিবার মীনাক্ষীর বিয়ে হোক বা রিসেপশন, সেখানে টলিপাড়ার সঙ্গীত জগতের রথী-মহারথীরা হাজির ছিলেন। এমনকি দুর্নিবারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু শোভন ও তাঁর বান্ধবী স্বস্তিকার দেখাও মিলেছিল। পৌঁছেছিলেন ইমন-নীলাঞ্জনও। এবার অবশ্য তেমনটা ঘটল না, বা সোশ্যাল মিডিয়া এড়িয়ে গেলেন তাঁরা।
২০২২ সালের শুরু থেকে দুর্নিবার-মীনাক্ষীর সম্পর্কে চিড় ধরার খবর সামনে আসতে শুরু করেছিল। জুন মাসে ব্যাপারটা প্রকাশ্যে চলে আসে। অনেকেই দুর্নিবারের বিয়ে ভাঙার জন্য ঐন্দ্রিলাকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। যদিও দুর্নিবার জানিয়েছেন, তিনি পরকীয়া করেননি। মোহর যখন তাঁর জীবনে আসে তখন মীনাক্ষী তাঁর জীবনে অতীত।
ডিভোর্সের কারণ নিয়ে মুখ না খুললেও দুর্নিবারের কথায়, ‘কিছু সম্পর্ক যে ঠিক নয়, তা বোঝার পর একটা জায়গায় এসে মনে হল এতদিনে আমার হাতটা শক্ত করে ধরে রাখছে কেউ। মোহর আমার জীবনের সেই মানুষটা। …. সম্পর্কে এতটা ঠিক নিজেকে কোনওদিন মনে হয়নি’।