কদিন আগেই শেষ হওয়ার কথা জানা যায় কে প্রথম কাছে এসেছি সিরিয়াল। সবে জি বাংলায় শুরু হয়েছিল এটি। তবে খুব একটা টিআরপি না ওঠায় এটিকে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় চ্যানেল। ১০ সেপ্টেম্বর শেষ দিনের শ্যুটিং করেছে গোটা টিম। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে সোম- রবিবার সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে দেখা যাবে ‘আনন্দী’। আর ২২ সেপ্টেম্বর শেষ দেখা যাবে এই মেগা।
এরই মাঝে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ধারাবাহিকের ছোট্ট মিহি-র একটা ভিডিয়ো। যেখানে তাকে দেখা যায়, পর্দার মা মধুবনী অর্থাৎ মোহনা মাইতিকে জড়িয়ে খুব কাঁদছে ছোট্ট মেয়েটি। মোহনাও বুকে জড়িয়ে থামানোর চেষ্টা করছে। তাঁর চোখেও জল। সিরিয়াল শেষ হয়ে যাচ্ছে, তা মানতে পারছে না রাধিকা কর্মকারের ছোট্ট মন।
আরও পড়ুন: এবারের বিগ বস থিম ‘টাইম কা তাণ্ডব’! প্রথম প্রতিযোগী হিসেবে নাম এল এই ‘নাগিন’-এর
শিশুশিল্পী হিসেবে এটাই প্রথম কাজ রাধিকার। এর আগে তাঁকে দাদাগিরিতে দেখেও খুব পছন্দ করেছিল দর্শক। দাদা অর্থাৎ সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়কে নিজের হাতে ঝালমুড়ি মেখে খাওয়ানো তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করেছিল সকলে। বয়স মাত্র চার বছর। পর্দার মিহি অর্থাৎ রাধিকার বাড়ি দুর্গাপুরে। মা ছোট থেকেই মজার মজার ভিডিয়ো করে তা শেয়ার করত সোশ্যাল মিডিয়াতে।
বর্তমানে কাজের সূত্রে তার পরিবারও এসে উঠেছেন কলকাতায়। আপাতত এখানে পাকাপাকিভাবেই রয়েছেন তাঁরা। এখানেই পড়াশোনা করছে সে। সারাক্ষণ কে প্রথম কাছে এসেছি-র সেট।
আরও পড়ুন: যিশুর ‘বাবা হওয়ার’ গুঞ্জনের মাঝে ভাইরাল একটা ছবি! নীলাঞ্জনা লিখল, ‘এটাই শেষ…’
কদিন আগে বেশ দুঃখ করে মোহনা এই সময়কে সিরিয়াল শেষ হওয়া নিয়ে জানান, ‘যেদিন প্রথম খবরটা শুনলাম মাথায় পুরো আকাশ ভেঙে পড়েছিল। আসলে ভাবতে পারিনি এমনটা হতে পারে।' অভিনেত্রী এদিন আরও জানান, 'আসলে আমার প্রথম ধারাবাহিক দারুণ হিট করেছিল। অনেক দিন চলেছে। ভালো সাড়া পেয়েছিলাম। এবারও তাই দ্বিতীয় ধারাবাহিক নিয়ে সেটাই আশা ছিল। কিন্তু হল না। কী আর করব? নিজেকে বোঝাচ্ছি যা হয় ভালোর জন্য। কিন্তু মন মানছে না।’
আরও পড়ুন: ডাক্তার আন্দোলনের নামে অগ্নি ‘খাবার নষ্ট’ করছে অভিযোগ, ছবি দিয়ে প্রমাণ রাখলেন আরজে
অন্য দিকে, এই পথ যদি না শেষ হয়-এর সুপারহিট জুটি ফিরে আসছে আনন্দী দিয়ে। অর্থাৎ দ্বিতীয়বার একসঙ্গে অন্বেষা হাজরা এবং ঋত্বিক মুখোপাধ্যায়। ‘নিনি চিনিস মাম্মাস প্রোডাকশন হাউজ’ এটি প্রযোজনা করছে, অর্থাৎ নীলাঞ্জনা সেনগুপ্ত। তাঁর একার প্রযোজনায় প্রথম কাজ এটি।