লকডাউনের এই সময়টা ক্রিয়েটিভ কাজ করেই কাটছে বেশিরভাগ তারকার দিন। শ্যুটিং বন্ধ তবে থেমে নেই শিল্পীর শিল্পসত্ত্বা। অভিনেত্রী চিত্রাঙ্গদা সিং জানালেন লকডাউনের এই সমটায় শর্ট ফিল্ম লিখে সময় কাটছে তাঁর। ফিভার নেটওয়ার্ক ও হিন্দুস্তান টাইমসের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত 100 Hours 100 Stars অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে নিজের ঘরবন্দি জীবনের নানান খুঁটিনাটি দর্শকদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন নায়িকা। কথা বললেন তাঁর মজাদার টিক-টক ভিডিয়ো নিয়েও।
চিত্রাঙ্গদা সিং জানান, ‘আমি একটা স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি লিখলাম,সেটার ডায়লগ থেকে চিত্রনাট্য সবটাই আমি লিখেছি। এই প্রথম কোনও প্রোজেক্টের সবকিছু আমি নিজে করছি।দারুণ অভিজ্ঞতা’।
টিক-টকে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন হাজারো খোয়াইসে এয়সি তারকা। এভারগ্রিন গানে ঠোঁট নাড়িয়ে টিক-টক তৈরির মজাই আলাদা, মনে করেন অভিনেত্রী।
চিত্রাঙ্গদা বলেন, 'মন থেকে আমি একটু পুরোনো দিনের মানুষ।সবকিছু ক্ল্যাসিক আমার পছন্দ, সাদা-কালো ছবি, সেই সময়ের গান-খুব ভালোলাগে আমার। ম্যানেজারের কথা শুনেই টিকটক শুরু করি,তারপর দেখলাম সত্যি দারুণ মজাদার বিষয়টা’।
এমনতি সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব বেশি অ্যাক্টিভ নন সমীরা। নিজেকে সোশ্যাল মিডিয়া পার্সন বলতে না-রাজ অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি কিছু জিনিস ব্যক্তিগত থাকাই ভালো, এক্সিবিশন শব্দটা ব্যবহার করতে চাই না,কিন্তু আদতে সোশ্যাল মিডিয়ায় তেমনই হয়ে যাচ্ছে আর কী!’
লকডাউনে নিয়মমাফিক প্রতিদিন ওয়ার্কআউট করছেন চিত্রাঙ্গদা।কাজের ব্যস্ততায় আগে অনেক সময়ই সপ্তাহে তিন-চারদিনের বেশি ওয়ার্কআউট করা হয়ে উঠত না নায়িকার। সেটা লকডাউনের সুফল বলে মনে করছেন চিত্রাঙ্গদা।কসরত করবার পাশাপাশি একটানা ঘুমও দিচ্ছেন অনেকখানি।ঘুমোতে বরাবরই ভালোবাসেন অভিনেত্রী, তাঁর কথায়, ‘আমি যেখানে সেখানে,যখন তখন ঘুমিয়ে পড়তে পারি'।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দুঃস্থের পাশে দাঁড়াতেই #100Hours100Stars-র উদ্যোগ নিয়েছে ফিভার নেটওয়ার্ট। দেশের সবচেয়ে বড় ডিজিট্যাল এই ফেস্টের মাধ্যমে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কুর্নিশ জানাচ্ছে ফিভার নেটওয়ার্ক ও হিন্দুস্তান টাইমস।এই ক্যাম্পেনের মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ দান করা হবে পিএম কেয়ার্স ফান্ডে।