বলিউডে হাতেগোনা কয়েকজন মহিলা কোরিওগ্রাফার রয়েছেন। এবং সবার আগে প্রয়াত সরোজ খান এবং কোরিওগ্রাফার-চলচ্চিত্র নির্মাতা ফারহা খানের নাম সাধারণত এক্ষেত্রে সবার আগে মনে আসে। ভারতি টিভির একটি পডকাস্টে কোরিওগ্রাফার টেরেন্স লুইস ব্যাখ্যা করেছেন কেন পুরুষ-শাসিত ইন্ডাস্ট্রিতে ছাপ ফেলতে দুই মহিলা কোরিওগ্রাফারকে অনেক বেশি ‘আক্রমণাত্মক’ হতে হয়েছিল।
টেরেন্সের বক্তব্য ভাইরাল
টেরেন্স ভারতী আর হর্ষকে উদ্দেশ্য করে সেই লোকেদের জবাব দিলেন, যাদের মনে প্রশ্ন, ‘কেন তাঁরা এত অভদ্র আচরণ করে’। যা নিয়ে টেরেন্সের যুক্তি, ‘তাদের জানা দরকার যে এই শিল্পে নারীদের কাজ করা অত্যন্ত কঠিন, যেখানে এটি পুরুষদের দ্বারা আধিপত্য বিস্তার করে। তাদের রুক্ষ ও শক্তিশালী হতে হবে। ইন্ডাস্ট্রির নির্মমতা তাদের ভেতরের নারীদের মেরে ফেলে। ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকতে হলে তাদের পুরুষ হয়ে উঠতে হবে’
এরপরে তিনি যোগ করেছিলেন যে ফারহা বা সরোজ খানদের মতো মহিলা কোরিওগ্রাফারদের তাদের পুরুষ সহকর্মীদের তুলনায় অনেক বেশি ‘আক্রমণাত্মক’ হতে হয়, ‘গালগালি’ দিতে হয়। তাদের বারবার প্রমাণ করতে হয় যে, তাঁদের হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। ‘আমাদের পুরুষদের এত কিছু করতে হয় না; কিন্তু একজন নারী হিসেবে আপনাকে করতেই হবে, এই পুরুষশাসিত ইন্ডাস্ট্রিতে। এটা দুঃখজনক ব্যাপার। ওরা নিজেদের মধ্যে থাকা নারীসত্তাকে ধ্বংস করেছে। এ কারণেই তারা পুরুষদের মতো আচরণ করে, হাঁটে এবং কথা বলে।’
আরও পড়ুন: ১ম বউকে ডিভোর্স না দিয়ে হেমাকে বিয়ে ধর্মেন্দ্রর! ‘তোর কি দুটো মা’ স্কুলে শুনতে হয় এষাকে, তারপর…
সরোজ খান এবং ফারাহ খানের ক্যারিয়ার সম্পর্কে
সরোজ খান হিন্দি চলচ্চিত্র জগতে কাজ করা প্রথম শীর্ষস্থানীয় মহিলা কোরিওগ্রাফারদের মধ্যে একজন ছিলেন। তিনি ৩ বছর বয়সে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেছিলেন এবং ১৯৫০-এর দশকে ব্যাকগ্রাউন্ড নৃত্যশিল্পী হিসাবে কাজ করেছিলেন। ১৯৭৪ সালে সাধনা অভিনীত গীতা মেরা নাম দিয়ে কোরিওগ্রাফার হিসেবে ব্রেক পান। এরপর মিস্টার ইন্ডিয়া, চাঁদনি, তেজাব, বেটা, থানেদার, চালবাজ, সৈলাব, ডর, খলনায়ক এবং আনজামের মতো চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রশংসিত হয়েছিলেন। বেশিরভা সিনেমাতেই বলিউডের দুইডান্সিং আইকন মাধুরী দীক্ষিত এবং প্রয়াত শ্রীদেবীর নাচিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ‘অন্তরা সোজা পথে, ট্যালেন্ট দিয়ে ওঠেনি…’! চরিত্র নিয়ে কু-মন্তব্য ফেসবুকে, জবাব সারেগামাপা বিচারকের
ফারাহ কোরিওগ্রাফার হিসাবে তার প্রথম ব্রেক পেয়েছিলেন, যখন তিনি সরোজ খানের পরিবর্তে জো জিতা ওহি সিকন্দর (১৯৯২) ছবিতে পেহলা নাশা-র কোরিওগ্রাফি করেন।২০০৪ সালের ব্লকবাস্টার ‘ম্যায় হুঁ না’ দিয়ে পরিচালনায় অভিষেকের আগে, দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে, কুছ কুছ হোতা হ্যায়, দিল সে, মহব্বতে এবং কাভি খুশি কাভি গমের মতো চলচ্চিত্রের জন্য কোরিওগ্রাফি করেছিলেন।