তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নিয়েই করোনা দমনে কড়া পদক্ষেপ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যজুড়ে আংশিক লকডাউনের পথে আগেই হেঁটেছিল নবান্ন, এবার অনির্দষ্টকালে জন্য বাংলায় সিনেমা হলের ঝাঁপ বন্ধ রাখবার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। সব ধরনের সামাজিক, বিনোদন, সাংস্কৃতিকমূলক জমায়েতও আগের মতোই নিষিদ্ধ থাকবে, নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দিল রাজ্য সরকার। সিনেমা হলের পাশাপাশি বন্ধ থাকবে অডিটোরিয়ামও।
গত ৩০শে এপ্রিল থেকে রাজ্যে বন্ধ রয়েছে সিনেমা হল, পানশালা, জিম থেকে রেস্টুরেন্ট, শপিং মল,বিউটি পার্লার ও স্পা। এর জেরে ফের অন্ধকারের কালোমেঘ বাংলার বিনোদনজগতে। করোনা আবগে গত বছর দীর্ঘ সাত মাস পুরোপুরিভাবে বন্ধ ছিল সিনেমা হল। মার্চ থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত বন্ধ থাকবার পরেও আংশিকভাবে অর্থাত্ মাত্র ৫০% দর্শক নিয়ে হল চালানোর অনুমতি মিলেছিল। এর জেরে বিরাট আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন হল মালিক, ডিস্ট্রিউটার থেকে প্রযোজকরাও। আটকে গিয়েছিল বড় বড় ছবির মুক্তি। ফের একবার ক্ষতির মুখে বিনোদন ইন্ডাস্ট্রি। যদিও শ্যুটিংয়ের ব্যাপারে কোনওরকম নির্দেশিকা জারি করেনি রাজ্য। লকডাউন পরবর্তী SOP (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর) মেনেই এখন চলছে শ্যুটিং।
ফেব্রুয়ারি মাসে হলভর্তি দর্শক নিয়ে সিনেমা হল চালানোর অনুমতি মিলেছিল ঠিকই, তবে করোনার জেরে তেমনভাবে দর্শকরা হলমুখী হচ্ছিলেন না। পাশাপাশি কোনও বিগ বাজেট বলিউড ছবি বা চর্চিত টলিউড মুক্তি পায়নি এই দীর্ঘ সময়ে। পরিস্থিতি আরেকটু ভালোর দিকে এগোনোর অপেক্ষায় ছিলেন সকলেই! ইতিমধ্যেই চলতি মাসেই সাময়িকভাবে সিনেমা হলের ঝাঁপ বন্ধ রাখবার সিন্ধান্ত নেয় প্রিয়া, মেনকা,নবীনার মতো কলকাতার সিঙ্গল স্ক্রিন থিয়েটারের মালিকরা। তবে খোলা ছিল মাল্টিপ্লেক্স। সরকারি নির্দেশে গত মাসের শেষ থেকেই বন্ধ গিয়েছে মাল্টিপ্লেক্সেও।
আগামী সপ্তাহেই মুক্তি পাচ্ছে সলমন খানের রাধে। এই ছবি দর্শককে হলমুখী করবে এমন আশায় রয়েছেন দেশের হলমালিকরা। তবে সে জায়গাতেও ব্রাত্য বাংলার সিনেমা হল মালিকরা। ইদে ভাইজান দেশের অনান্য হলে ‘রাধে’ নিয়ে হাজির হলেও, বাংলার ফ্যানেরা কিন্তু বঞ্চিতই থাকছে! তাই তাদের ভরসা একমাত্র জি-প্লেক্স। সেখানে ঘরে বসেই নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে দেখা যাবে এই ছবি।